ভিটামিনের অভাবে হাঁস ও মুরগির রোগ-বালাইয়ের লক্ষণ এবং প্রতিকার গুলো ভালো করে জেনে রাখা উচিত প্রত্যেক খামারির। কেননা ঠিক মতো সুষম খাবার খাওয়ানো সম্ভব হলেই হাঁস মুরগির উৎপাদন ভালো হবে।
মনে রাখতে হবে হাঁস ও মুরগির উৎপাদনে সফলতা পেতে হলে সবচেয়ে বেশি যেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সেটা হলো খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন জাতীয় খাবার সঠিকভাবে সরবরাহ করতে হবে।
হাঁস-মুরগির উৎপাদনে বা রোগ প্রতিরোধে ভিটামিনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ মুরগিকে সুস্থ্য, সবল ও কর্মক্ষম রাখে। অন্যান্য খাদ্য উপাদানের তুলনায় এ উপাদানের প্রয়োজনীয় পরিমান অতি কম হলেও বিভিন্ন উপসর্গের সৃষ্টি হয় এবং মৃত্যুহার বৃদ্ধি পায়।
হাঁস-মুরগির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপ্রাণ যেমন, ভিটামিন এ, ডি, ই এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবে নির্দিষ্ট রোগ ও উপসর্গ দেখা দেয়।
লক্ষণ সমূহ: মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়। উৎপাদন কমে যায়, উর্বরতা হ্রাস পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ডিমের খোসা পাতলা হয়। ক্ষুধামন্দা, দূর্বলতা, ওজন হ্রাস ও চর্মপ্রদাহ দেখা দেয়।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ: সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। মোরগ-মুরগিকে সবুজ শাক সবজি, হলুদ ভুট্টা, শস্যকনা প্রভৃতি ভিটামিনযুক্ত খাবার সরবরাহ করতে হবে। খামারে হাঁস-মুরগির জন্য বিভিন্ন কৃত্রিম ভিটামিন ব্যবহার করতে হবে।
ভিটামিনের অভাবে হাঁস ও মুরগির রোগ-বালাইয়ের লক্ষণ এবং প্রতিকার সংবাদটির তথ্য প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের ই প্রাণি সম্পদ শাখা থেকে নেয়া হয়েছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২২ মে ২০২১