চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে মশুর প্রদর্শনীর ওপর কৃষক মাঠদিবস অনুষ্ঠিত

358

[su_slider source=”media: 3167,3168,3169,3170″ title=”no” pages=”no”]

তুষার কুমার সাহা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) আয়োজিত বিনামশুর-৫ ও বিনামশুর-৮ প্রদর্শনী’র ওপর এক কৃষক মাঠদিবস গত ১ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের জামতলায় অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে কৃষাণী মোসা. সাবিনা খাতুনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিনার ময়মনসিংহস্থ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সিগ্ধা রায়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবিএম শফিউল আলম, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মো. শাহিনুর রহমান, বিনার সহকারি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফেরদৌসি বেগম প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন, বিনা মশুর-৫ ও ৮ দুটি জাতই উচ্চফলনশীল, খরাসহনশীল, অনেকাংশে রাগ-পোকা প্রতিরোধী জাত এবং একবারের বেশি সেচের দরকার হয় না। তাই এ প্রদর্শনী দেয়ার উদ্দেশ্য হলো জাতদু’টো চাষের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে ডালফসলে লাভবান করে তোলা। তিনি আরো বলেন, রোপা আমন কর্তনের পর পতিত জমিতে হালকা সেচ ও চাষ দিয়ে বীজ ছিটিয়ে দিলে, সেইসাথে সার এবং পরিচর্যা করে আশানুরূপ ফলন পাওয়া সম্ভব। মশুর কাটার পর মুগ অথবা তিল, এরপর রোপা আমন চাষ করা যাবে। সভাপতির বক্তৃতায় কৃষাণী আমেনা বেগম বলেন, ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্রের মাটি আজ সোনার চেয়েও খাঁটি। একসময় এখানে রোপা আমন ধান ছাড়া অন্য কোনো ফসল ভালো হত না। কৃষি বিভাগ ও বিনা’র সময়োপযোগি এ উদ্যোগে রোপা আমন কাটার পর পতিত জমিতে বিনামশুর-৫ জাতের ডাল চাষের সুযোগ পেয়ে এলাকার চাষিরা আশার আলো দেখেেছ। তিনি আরো বলেন, প্রদর্শনীর জমি থেকে ৬/৭ মন মশুর পাওয়া যাবে, যা দেশের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে এবং আগামীতে অনেক কৃষক এ জাতের মশুর চাষে এগিয়ে আসবে। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ ১৫০ জন কৃষাণ-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।