ঋতু পরিবর্তন, আবহাওয়া পরিবর্তন কিংবা তাপমাত্রার উঠানামায় গবাদিপশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়া বন্যার সময় বেশিরভাগ গবাদিপশুর অসুখ হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, মাইকোপ্লাজমাসহ বিভিন্ন অণুজীব এসব রোগের জন্য দায়ী। গবাদিপশুকে রোগমুক্ত রাখতে দিতে ভ্যাকসিন বা টিকা। তাই, দুর্ঘটনা কিংবা ক্ষতি এড়াতে সংগ্রহে রাখুন গরুর ভ্যাকসিন শিডিউল। এসব টিকা বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাত্রায় প্রয়োগ করতে হয়।
১। ক্ষুরা রোগ (FMD):
এই ভ্যাকসিন গরুর ৪ মাস বয়স থেকে দিতে হয়।
১ম ডোজের ১ মাস পর ২য় ডোজ এবং এরপর প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর এটা দিতে হবে।
২। ধনুষ্টংকার (HS) :
গরুর ৬ মাস বয়স থেকে এই ভ্যাকসিন দিতে হয় এবং বছরে ১ বার এটা দিতে হবে।
৩। ব্ল্যাক কোয়ার্টার (BQ):
গরুর ৬ মাস বয়স থেকে এটা দিতে হয় এবং বছরে ১ বার দিতে হবে।
৪। ব্রুসিলোসিস: শুধু মাত্র বক্না গরু কে ৪/৮ মাস বয়স থেকে সারা জীবনে ১ বার দিতে হয়।
৫। থেলেরিওসিস:
গরুর ৩ মাস বয়স থেকে এটা দিতে হয় সারা জীবনে ১বার। সাধারনত ক্রস এবং এক্সোটিক ব্রীড গুলিকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়।
৬। এনথ্রাক্স:
৪ মাস বয়স এবং এর উপরের বয়সের গরুকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়। ১ম ডোজের ১মাস পর ২য় ডোজ এবং এর পর প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর এটা দিতে হবে।
৭। IBR (আইবিআর):
গরুর ৩ মাস বয়স এবং তার উপরের বয়স থেকে এটা দিতে হয়। ১ম ডোজের ১মাস পর ২য় ডোজ এবং এর পর প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর এটা দিতে হবে।
৮। জলাতঙ্ক:
সন্দেহজনক কামড় খাওয়ার পর পর গরুকে এই ভ্যাকসিন দিতে হবে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
সংগ্রহে রাখুন গরুর ভ্যাকসিন শিডিউল শিরোনামে লেখাটি আলিফ এগ্রো থেকে নেওয়া হয়েছে। লেখাটি লিখেছেন মুক্তি মাহমুদ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৬ আগস্ট ২০২১