টবে স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি

1812

স্ট্রবেরি মূলত শীতপ্রধান অঞ্চলের ফল। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের যেসব এলাকায় শীত বেশি পড়ে ও বেশি দিন থাকে সেসব এলাকায় বারি স্ট্রবেরি-১ নামে একটি উচ্চফলনশীল জাতের স্ট্রবেরি চাষ করা হচ্ছে। অক্টোবর থেকে নভেম্বর দুই মাস স্ট্রবেরির চারা লাগানোর জন্য উপযুক্ত। যাদের বড় করে বাগান করার মতো জায়গা আছে তারা অনায়াসেই করতে পারেন কিন্তু যাদের জায়গা নেই তারা চাইলে বারান্দা কিংবা ছাদে ছোট্ট পরিসরে স্ট্রবেরি চাষ করতে পারেন।

কীভাবে চাষ করবেন?
যারা টবে অর্থাৎ ছোট্ট পরিসরে স্ট্রবেরি চাষ করতে চান তারা প্লাস্টিক কিংবা মাটির টব অথবা যেকোনো ৫ লিটারের প্লাস্টিকের বোতল কেটে চারা লাগাতে পারেন। প্রচলিত টবের মাপ সাধারণত ৮/১০ ইঞ্চি হয়ে থাকে এবং সাধারণ মাপই যথেষ্ট। ১টি টবে ১টি চারাগাছ লাগানোটাই আদর্শ। গোবর আর ড্যাপ সার ( ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ব্যবহার করে আপনি মাটিকে উর্বর করে নিতে পারেন। গোবর আপনার নিকটস্থ যেকোনো নার্সারিতে পাওয়া যাবে আর একান্তই যদি ব্যবস্থা না করতে পারেন তাহলে সহজ বুদ্ধি হলো বাসায় শাকসবজির ফেলে দেয়া অংশগুলো একত্রিত করে পচিয়ে নিতে পারেন। আর রোদ গাছের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান তাই যেখানে সরাসরি রোদ পড়ে এমন জায়গাতেই গাছ লাগান। আবার রাতের বেলা শিশির পড়ে এমন জায়গাতে লাগাতে হবে। অর্থাৎ রোদ এবং শিশির দুটোই থাকতে হবে। চারাগাছ লাগনোর কিছুদিন পর নতুন করে কিছু চারা জন্মাবে যা থেকে আপনি গাছের সংখ্যা বাড়াতে পারেন কিন্তু গাছে ফুল চলে আসলে নতুন চারা না রেখে কেটে ফেলতে হবে।

যেভাবে যত্ন নিবেন:
অন্যান্য গাছের মতোই নিয়মিত কিছু যত্ন নিতে হবে। যেমন-মরাপাতা কেতে ফেলা, একটু মাটি খুঁচিয়ে দেয়া ও নিয়মিত পানি দেয়া। গাছে ফুল আসার পর থেকে যত্নের পরিমাণ একটু বাড়াতে হবে। যেমন- ফুলের নিচের অংশের মাটির উপর এমন কিছু দিন খড় বা কাপড় যাতে ফল মাটি স্পর্শ না করে, মাটি স্পর্শ করলে ফল পচে যাবার সম্ভাবনা থাকে। একটা গাছে ২০ থেকে ৩০টা ফল পাওয়া সম্ভব। ফল পাকা শুরু হলে নেট দিতে এমনভাবে ঢেকে দিতে হবে যাতে পাখি খেয়ে ফেলতে না পারে।

পোকামাকড় হলে কীটনাশক যতটুকু সম্ভব ব্যবহার না করাই ভালো। পোকামাকড় আক্রান্ত পাতা ফল সঙ্গে সঙ্গেই কেটে ফেলে দিতে হবে।
এভাবে স্ট্রবেরি চাষে যেমন আপনি নিজে খেতে পারবেন তেমনি এতে আপনার আনন্দময় সময় কাটবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৮ আগস্ট ২০২১