খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা করবেন

343

মুরগির খামারে লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে অনেকেই এই পেশার দিকে ঝুঁকছেন। তবে মুরগির খামারে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সেগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। বিশেষ করে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে তা আরও সহজ হবে।

মুরগি পালনে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা করবেন:
সেডে যাতে কোন পাখি বা বন্য প্রাণি ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। পাখি বা বন্য প্রাণি এক ফার্ম হতে অন্য ফার্মে রোগ ছড়াতে পারে।বাচ্চা সেডে ঢুকানোর পূর্বে সেডটি ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করবেন। ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে সেডের সমস্ত আলগা ময়লা,নেটের ময়লা,মাকড়সার জাল ইত্যাদি বের করে সেড হতে অনেক দূরে নিয়ে ফেলে দিবেন।

কাপড় কাচার পাউডার অথবা ব্লিচিং পাউডার পানিতে গুলিয়ে ঝাড়ু দিয়ে সমস্ত সেডের মেঝে ও সাইড ধুয়ে নিতে হবে।চুন গুলে মেঝে ও ফার্মের বাইরে ৩ থেকে ৪ ফিট বাহির পর্যন্ত পুরো করে দিয়ে দিতে হবে।

কমপক্ষে ৭ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এক ব্যাচ মুরগি বিক্রির পরে কমপক্ষে ১৫ দিন অপেক্ষা করা উচিৎ।সেডের চারপাশে ৩ থেকে ৫ ফুট দূর দিয়ে বাঁশ অথবা প্লাস্টিক নেটের বেড়া দেওয়া যেতে পারে। এতে শেয়াল, বিড়াল, কুকুর, দর্শনার্থী ইত্যাদি হতে মুরগি নিরাপদ দূরত্বে থাকে।

খামারে বাইরের কাউকে প্রবেশ করাতে হলে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করে আলাদা পোশাক পরিয়ে তারপর খামারে প্রবেশ করাতে হবে। এতে খামারে বহিরাগতদের মাধ্যমে রোগের বিস্তার ঘটতে পারবে না। খামারে ইদুরের আক্রমণ প্রথম হতেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইদুরের সবচেয়ে ভালো বিষ সারের বা কিটনাশকের দোকানে পাওয়া যাবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১২সেপ্টেম্বর ২০২১