সাধারণত বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের গাভী পালন করা হয়ে থাকে। খামার কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে এসব গরু পালন করা হয়। খামারিরা অধিক দুধ দেয়া গাভী চেনার কৌশল জানলেও অনেকেই তা জানেন না।
অধিক দুধ দেয়া গাভীর বৈশিষ্ট্য ও স্কোরকার্ড দেখে নির্বাচন করা যায়। অধিক দুধ দেয়া গাভীর শারীরিক গঠন ও কয়েক বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখে দুধ উৎপাদন সম্পর্কে প্রায় নিশ্চিত ধারনা পাওয়া যায়।
বেশী উৎপাদনশীল গাভী নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপুর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো-
মাথাঃ মাথা হালকা ও ছোট আকারের, কপাল প্রশস্ত ও উজ্জ্বল চোখ হবে।
দৈহিক আকৃতিঃ দেহের সামনের দিক হালকা, পিছনের দিক ভারী ও সুসংগঠিত হবে। গাভীর সমস্ত অংগ প্রতঙ্গ সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সুগঠিত হবে। দৈহিক আকার আকর্ষণীয় ও শরীরের গঠন ঢিলা হবে।
পাঁজরঃ পাঁজরের হাড় স্পষ্ট অনুভব করা যাবে ও হাড়ের গঠন ঢিলা হবে।
চামড়াঃ চামড়া পাতলা হবে। চামড়ার নিচে অহেতুক চর্বি জমা থাকবে না। চামড়ার রং উজ্জল হবে। লোম মসৃণ ও চকচকে হবে।
ওলানঃ ওলান বড় ও সুগঠিত এবং দেহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। পিছনের দুই পায়ের মধ্যবর্তী স্থান প্রশস্ত হবে। বাটগুলো একই আকারের হবে। চারটি বাট সমান দূরত্বে ও সমান্তরাল হবে। ওলান দেখেই দুগ্ধ ধারন ক্ষমতা অনুমান করা যাবে।
দুগ্ধ শিরাঃ দুগ্ধ শিরা মোটা ও স্পষ্ট হবে। তলপেটে নাভীর পাশ দিয়ে দুগ্ধ শিরা আঁকাবাঁকা ভাবে বিস্তৃত থাকবে।
অধিক দুধ দেয়া গাভী চেনার কৌশল সংবাদের তথ্য অনলাইন পশু চিকিৎসালয় ও সোনালী কৃষি থেকে নেওয়া হয়েছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৭সেপ্টেম্বর ২০২১