বাংলাদেশ থেকে সয়াবিন মিল বেনাপোল বন্দর দিয়ে রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। এসব সয়াবিন মিল আমদানি করে পোল্ট্রি ফিড তৈরি করছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে ঝুঁকিতে আছে দেশের ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্প।
আজ সোমবার কাস্টস সূত্র জানিয়েছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ-ছয় শ ট্রাক সয়াবিন মিল ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং) পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সই করা এক আদেশে বাংলাদেশ থেকে সয়াবিন মিল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, প্রাণিসম্পদ সেক্টরে ডেইরি ও পোল্ট্রি ফিডে সয়াবিন মিল একটি অন্যতম উপাদন। দেশীয় বাজারে বাৎসরিক সয়াবিন মিলের প্রাপ্যতার ঘাটতি রয়েছে। দেশে ডেইরি ও পোল্ট্রি সেক্টরের চাহিদা মেটাতে বছরে প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন সয়াবিন মিল প্রয়োজন। যার বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়। রপ্তানি করলে দেশে ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। বাড়বে পোল্ট্রি ফিডের দাম।
নিষেধাজ্ঞা জারির পরই সব ধরনের সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বন্দর এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সই করা অন্য এক আদেশে সয়াবিন মিল রপ্তানির ওপর নিষধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে আমদানিকারক ব্যবসায়ী অব্দুল লতিফবলেন, ‘বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ ট্রাক সয়াবিন মিল ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচাতে এই মুহূর্তে সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধ করা জরুরি।’
পোলিট্র ফিড আমদানিকারক খুরশিদ জাহান বলেন, ‘সয়াবিন মিল রপ্তানির ফলে দেশীয় ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্প ঝুঁকিতে পড়বে। দেশীয় পোল্ট্রি ফিডের মূল্য বেড়ে যাবে। আমরা সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রথম চিঠির পর আমরা আরও একটি চিঠি ইস্যু করে ফের রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি। লাইফ স্টকের ডিজি সয়াবিন মিল রপ্তানির বিষয়টি নিরুৎসাহিত করার পক্ষে আমাদের অবহিত করেছেন। আমি বাধ্য হয়ে আবারও রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি। ফলে দেশীয় বাজারে ডেইরি ও পোল্ট্রি ফিডের দাম কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা বেড়েছে, আরও বাড়তে পারে।’
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৮সেপ্টেম্বর ২০২১