একসময় বলা হতো, বেশি ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর, ডিম খেলে নাকি রক্তচাপ বাড়ে, কোলেস্টেরল বাড়ে। বিজ্ঞানীরা এখন সে মতবাদ পাল্টেছেন। চীনে একটি গবেষণা থেকে পরিষ্কার হয়েছে, প্রতিদিন একটা ডিম খেলে হৃদ্যন্ত্র বা শরীরের রক্ত সঞ্চালনে কোনো ঝুঁকি তৈরি হয় না। বরং প্রতিদিন একটা ডিম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
একটা ডিমে ৪ দশমিক ৬ গ্রাম চর্বি থাকে, যা প্রায় এক চা–চামচের সমান। এর মাত্র এক–চতুর্থাংশ হলো স্যাচুরেটেড বা সম্পৃক্ত চর্বি, যা ক্ষতিকর। স্যাচুরেটেড চর্বির অংশ শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। কিন্তু ডিমের মধ্যে অসম্পৃক্ত বা আনস্যাচুরেটেড চর্বিই বেশি, যা হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
বেশির ভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে বেশি পাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম ডিম। যেমন ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ রয়েছে। এ ছাড়া ডিমে লুটেইন ও জিয়াস্যানথিন নামে দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে, যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে। বেশি ডিম খাওয়ায় ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
সেদ্ধ ডিম সহজপাচ্য, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। বেশির ভাগ পুষ্টিবিদ ডিম ভেজে না খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ, ডিম যে তেল বা মাখনজাতীয় চর্বিতে ভাজা হয়, তার মধ্যকার স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কাঁচা বা হালকা করে রান্না করা ডিমও পুষ্টিযুক্ত। তবে এ ক্ষেত্রে স্যালমোনেলা–জাতীয় জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
সূত্র: প্রথম আলো
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৯সেপ্টেম্বর ২০২১