বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রজাতির পাকস্থলীর পাতাকৃমি দ্বারা গবাদি পশু আক্রান্ত হয়ে থাকে। এতে সাধারণত গরু বেশি আক্রান্ত হয়। মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হলে গরু মৃত্যুর হার ৯০%।
চলুন জেনে নেওয়া যাক গবাদি পশুর পাকস্থলীর পাতাকৃমি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে-
লক্ষণ :
আক্রান্ত পশুর ক্ষুধামন্দা, ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস, পানিশূন্যতা, উদাসীনভাব, চলাফেরায় দুর্বলতা, মারাত্মক পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। থুতলির নিচে পানি জমা হতে পারে। মিউকোজা ফ্যাকাশে দেখাবে।
ছোট বাছুর ও ভেড়া আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে ও বিশেষ করে লক্ষণ দেখা দেয়ার ১৫-২০ দিন পর মারা যায়। প্রাপ্ত বয়স্ক কৃমি আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণের ক্ষেত্রে পশুর ওজন কমে যায়, রক্তশূন্যতা চামড়া শুকিয়ে যায়, উৎপাদন কমে যায়, পশুর থুতনির নিচে পানি জমা হয়। এভাবে রোগ ভোগের কিছু দিন পর আক্রান্ত পশুর মৃত্যু ঘটতে পারে অথবা ধীরে ধীরে সেরে ওঠতে পারে।
প্রতিকার:
১. যেসব এলাকায় প্রতি বছর গবাদি পশুর পাকস্থলীর পাতাকৃমি সংক্রমণ ঘটে, সে এলাকায় নিয়মিত চিকিৎসা দিতে হবে, যাতে করে প্রাপ্ত বয়স্ক কৃমি ধ্বংস হয়ে যায়।
২. নিচু জলা ভূমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং শামুক নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে।
গবাদি পশুর পাতাকৃমি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার শিরোনামে লেখাটি লিখেছেন কৃষিবিদ ডা: মনোজিৎ কুমার সরকার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার, গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা। লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১