রোগাক্রান্ত কবুতরের জন্য প্রাথমিক করণীয়

725

দুঃখ জনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশে কবুতর ফেন্সিয়ার এর তুলনায় কবুতর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই বললেই চলে। আর যারা কবুতর পালন শুরু করেন প্রাথমিক অবস্থায় এর রোগ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখেন না। এমতাবস্থায় শখ করে কেনা কবুতরটি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন দিশে হারিয়ে ফেলেন খুব সহজেই। উনি যখন নেটে ফেবুতে ছুটাছুটি করে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে চিকিৎসা না পেয়ে আশাহত হয়ে অভিজ্ঞ অগ্রজদের মুন্ডুপাত করতে থাকেন তখন তার প্রিয় কবুতরটি প্রতি মূহুর্তে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে এগিয়ে যেতে থাকে না ফেরার দেশের দিকে।

অথচ সামান্য একটু বিচক্ষনতার পরিচয় দিলে আপনি নিজের প্রিয় কবুতরটিকে রোগের সাথে জুঝবার জন্য কিছু সময়, কিছু শক্তির যোগান দিতে পারেন।

কবুতর জগতে আমার বিচরন খুবি অল্প দিনের এর ভেতরে আমি যে জিনিষ্টি বুঝতে পেরেছি তা হলো ভেট স্যালাইন (ইলেক্ট্রোমিন) এবং রাইস স্যালাইন (কলেরা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য যেকোন রাইস স্যালাইন) এই দুটি খুবই স্বল্প মূল্যের সাধারন ঔষধ আপনার প্রিয় পাখিটির প্রান রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখতে পারে।

হ্যা ভাই আপনার কবুতর পালনের প্রথম দিন থেকেই, কবুতরের সঙ্গি হিসেবে এই দুটি জিনষ আপিনার বাড়ীতে আসা উচিৎ।
আপনার কবুতরের ড্রপিংস পাতলা হলে, খাবার হজম না হলে, কবুতর না খেলে, বা খাবার পর বমি করে খাবার ফেলে দিলে এবং এর সআআথে যখন তার মাঝে ঝিমুনির ভাব দেখবেন তার রোগ সনাক্ত করে চিকিৎসার জন্য চেষ্টার শুরুটা করবেন আপনার কবুতরকে রাইস স্যালাইন খাইয়ে দিয়ে।

আগে আপনার কবুতরকে খাবার দিন, ওর পানি শূন্যতা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল করুন, এর পর প্রয়োজনে অন্যের কাছে সাহায্য চান। খাবার পেলে আপনার কবুতর রোগের বিরুদ্ধে টিকে থাকবার জন্য কিছুটা হলেও শক্তি পাবে।

খাবার স্যালাইন দিতে পারেন যে ভাবে:
১০ মিলি কুশুম গরম পানিতে ১ গ্রাম রাইস স্যালাইন মিশিয়ে সিরিঞ্জ দিয়ে খাইয়ে দিতে হবে। দিনে ৩ থেকে ৪ বার।
অথবা ২ ঘন্টা পর পর:
৫ মিলি কুশুম গরম পানিতে ১ গ্রাম রাইস স্যালাইন।

যে সব ক্ষেত্রে আপনার কবুতরের ড্রপিংস চুনা হয় সেক্ষেত্রে কবুতরটিকে আলাদা রাখুন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০২ অক্টোবর ২০২১