আলোর ফাঁদ

553

আলোর ফাঁদ

নাহিদ বিন রফিক: অতিরিক্ত জনসংখ্যা, চাষের জমি হ্রাস, সেইসাথে খাদ্যের বাড়তি চাহিদা এসব কারণে কৃষক আধুনিক উপায়ে চাষাবাদ করছে। আর তা করতে গিয়ে পোকা-মাকড় থেকে ফসলকে রক্ষার জন্য ব্যাপকভাবে কীটনাশক ব্যবহার করছে। এতে ক্ষণির জন্য উপকার হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এ বিষাক্ত পদার্থগুলো জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ে মাছের বিপদ ডেকে আনছে। পাশাপাশি পরিবেশকে করছে দূষিত। এভাবে চলতে থাকলে অদূরভবিষ্যতে মৎস্যসম্পদ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছবে। এ অশুভ লক্ষ্মণ থেকে পরিত্রাণের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন। সে প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা সংক্ষেপে আইপিএম নামে এক ধরনে পদ্ধতি বের করেছেন। আলোর ফাঁদ হলো এরই অংশবিশেষ। অত্যন্ত কার্যকরি এ পদ্ধতি ব্যবহারে একদিকে যেমন ফসলের ক্ষতিকর পোকাগুলো মারা যাবে, অপরদিকে পরিবেশেরও কোন ক্ষতি হবে না।

ব্যবহার: জমির আইল থেকে কমপক্ষে ৫০ মিটার দূরে জলন্ত হ্যাজাক নয়তো হ্যারিকেন কিংবা বৈদ্যুতিক লাইট বাঁেশর কঞ্চির সাহায্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এর নিচে একটি বড় আকারের গামলা বা পাত্রে পারিমাণমতো সাবান অথবা কেরোসিন মিশ্রিত পানি রেখে পাত্রটি এমনভাবে বসাতে হবে যাতে পোকা এর বাইরে না পড়ে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর তিন থেকে চার ঘণ্টা করে দু’তিন দিন এ ধরনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ফলাফল: উজ্জ্বল আলোতে আকৃষ্ট হয়ে ধানের মাজরা পোকার মথ, গান্ধি পোকা, ধানের পাতা মোড়ানো পোকা, চুংগি পোকা, বাদামি গাছ ফড়িং, সবুজ পাতা ফড়িং এসব এসে পানিতে পড়ে মারা যাবে।