এতে প্রধাণত ব্রুডিং পর্বের বাচ্চা আক্রান্ত হয়৷ তাই এই রোগকে ব্রুডার নিউমোনিয়া বলা হয়৷
কারণঃ বাচ্চা মুরগীতে ব্রুডার নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী ”অ্যাসপারজিলাস ফিউমিগেটাস নামক ছত্রাকের স্পোর এই রোগের কারন৷ সাধারণত কাঠের গুড়া লিটার হিসেবে ব্যবহার করা হলে এটি হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
রোগের বিস্তারঃ স্পোর দিয়ে দূষিত খাদ্য বা লিটার সামগ্রীর সংস্পর্শে অথবা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে স্পোর গ্রহণে মুরগীর বাচ্চা এই রোগে আক্রান্ত হয়৷
লক্ষণঃ
* তীব্র প্রকৃতির রোগে ক্ষুধামন্দা, পিপাসা বৃদ্ধি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়৷
* বাচ্চা শুকিয়ে যায় ও দুর্বল হয়ে পড়ে৷
* শ্বাসকষ্টের কারনে বাচ্চা মুখ হা করে ঘাড় ও মাথা উপরের দিকে টান করে শ্বাস গ্রহণ করে৷
* শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় ঘড়ঘড় শব্দ হয়৷
* আক্রান্ত বাচ্চার চোখের পাতা ফুলে যায়৷ বয়স্ক বাচ্চার কর্ণিয়া (Cornea) -তে আলসার বা ঘা দেখা দিতে পারে৷
* অতি তীব্র প্রকৃতির রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোনো বৈশিষ্টপূর্ণ উপসর্গ ছাড়াই বাচ্চা মারা যেতে পারে৷
* ফুসফুসে হলুদ নডিউল তৈরি হয়।
প্রতিরোধঃ
*লিটার হিসেবে অবশ্যই ধানের তুষ ব্যবহার করতে হবে।
* কাঠের গুড়া ব্যবহার কমাতে হবে।
*লিটারে তুতে দিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।
প্রতিকার:-
১। রেজিস্ট্যার্ড ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ মত দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৫অক্টোবর ২০২১