ব্রয়লার মুরগি অতিদ্রুত বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কিনা! এমন বিষয় জানতে চাইলে খামার মালিক ও বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের (বিপিকেআরজেপি) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. মহসিন বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন ব্রয়লার মুরগি অতিদ্রুত বৃদ্ধির জন্য খাবারে অতিরিক্ত কিছু খামার পর্যায়ে মেশানো হয় না। পোলট্রি ফিড আমরা তৈরি করিনা। আমরা কিনে এনে শুধু কোনটা কতটুকু দিবো সে অনুযায়ী দিয়ে খাবার তৈরি করি। এখানে আর কিছু মেশানোর বা দেয়ার সুযোগ নেই। খাবার ও মুরগির বাচ্চা দুটিই কিনে এনে আমরা শুধু লালন পালন করি। ব্রয়লার খাওয়াতে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
সর্বোচ্চ ৪২ দিন সময় দেয়া হয়। কিন্তু ওতো দিন রাখলে মুরগীর ওজন ৩/৪ কেজি হয়। তবে এতো ওজনের মুরগীর ক্রেতা বাংলাদেশে কম। সে কারণেই আমরা ৩০/৩২ দিন লালন পালন করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী এক বা দেড় কেজি ওজন হলে বিক্রি করে দেই। গ্রিলের জন্য ছোটো ব্রয়লারের চাহিদা বেশি থাকে সেজন্য উৎপাদকরা ২৮/৩০ দিনে বিক্রি করে দেন।
এদিকে পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. এম এম খান বলেন, দেশী মুরগিকে যত খাবারই দেয়া হোক না কেনো একটা পর্যায়ের পর তার আর ওজন বাড়বেনা। কিন্তু ব্রয়লার জেনেটিক পটেনশিয়াল। তাকে সঠিক পুষ্টি দিতে হয়। তার খাবারে সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হয়। আর এখন প্রতিযোগিতামূলক মার্কেট। অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কিছু মিশিয়ে কেউ খামার বা পোলটি ফিড ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবেনা। প্রতিনিয়ত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে। তাই এ সুযোগই নেই যে গণহারে সবাই মুরগির ওজন বাড়িয়ে ফেলবে।
পোলট্রি ফিড আমদানীকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বলছেন পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে পোলট্রি ফিড আনা হয়না।পোলট্রি খাবার আমদানীকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ডক্টরস ফিড লি:-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: এস এম বায়েজিদ হোসেন বলছেন তারা পোলটি ফিড আমদানি করে অবিকৃত অবস্থায় ডিলারের মাধ্যমে বাজার জাত করেন।
ফিড আমদানীকারকরা বড় ভলিউমে আমদানি করেন এবং মেশিনের মাধ্যমে প্যাকেটজাত করে ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করেন। তাই এসব পর্যায়ে অতিরিক্ত কিছু খাবারে মেশানো অসম্ভব। তবে একেবারে খুচরো পর্যায়ে কেউ অসাধুতা করলে সেটি হতে পারে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ৩০ অক্টোবর ২০২১