গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি বা প্রযুক্তি কী? এই প্রশ্ন আজকাল অনেক খামারীদের মাঝেই দেখা যায়। গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি সঠিক না হলে উৎপাদন ব্যহত হবে। সকল গরু মোটাতাজাকরণ খামারীই চাই নির্ধারিত সময়ে সবচেয়ে কম খরচে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন অর্জন করতে।
গরু মোটাতাজা করতে যে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আমাদের নজর রাখতে হবে তা হলোঃ
গরু মোটাতাজাকরনের কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে কৃমি মুক্ত করন। কৃমি গরুর উৎপাদন ব্যহত করার পাশাপাশি খামারের চিকিৎসা ব্যায় বাড়িয়ে দেয়।
এখানে সঠিক সময়ের কথা বলা হয়েছ। সঠিক সময় বলতে তিন থেকে ছয় মাস অন্তর অন্তর কৃমিনাশক করতে হবে। আমাদের দেশের তির্নমূল পর্যায়ের খামারিদের মাঝে এ বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকায় তারা কখনো কখনো বছরে এক বার কখনো বা কৃমিনাশক করায় হয় না।
আবার কৃমিনাশক করলেও সঠিক ভাবে কৃমি মুক্ত হয় না।
স্বল্প খরচে উৎকৃষ্ট মানের খাদ্য সরবরাহ: গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আংশ হলো খামারের খাদ্য ব্যবস্থাপনা। একটি খামারের মোট ব্যয়ের সবচেয়ে অংশ হলো খাদ্য ব্যবস্থাপনা। অন্যদিকে খামারের উৎপাদনও এর খাদ্য ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভরশীল। আর তায় সবচেয়ে কম খরচে উৎকৃষ্ট মানের খাদ্য সরবরাহের বিকল্প নেয়। শুকনো খড়, কাচা ঘাস, দানার খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি খেতে দিতে হবে।
পূর্ণ পরিচর্যা
গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি তে গরুর প্রতি পূর্ণ পরিচর্যা নিতে হবে। গরুর প্রতি আরো যত্নশীল হতে হবে। গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি তে গরুকে পরিপূর্ণ সুস্থ্য রাখতে হবে আর তাই গরুকে নিয়মিত কিছু নিউট্রেশনাল ঔষধ খাওয়ানো যেতে পারে।
রুমেনের কার্যকারিতা ভালো রাখতে এপিটাইজার, প্রোবায়টিক, মিনারেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে গরুর রুচি ভালো থাকবে। এছারাও গরুকে নিয়মিত ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করলে গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃৃদ্ধি পায়।
গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতিতে সাবধানতা
গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি অনুসরন করার সময় অবশ্যই নিম্নোক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
গরুর খাদ্যাভাস হঠাৎ পরিবর্তন করা যাবে না। গরুকে ভাত বা জাও রান্না খাওয়ান যাবে না। যদি কেও বেশি উৎসাহী হয় তাহলে তাকে বলব ভাতের সাথে বেশি পরিমানে চাউলের কুড়া অথবা খড়ের টুকরা মিশিয়ে খাওয়াবেন।স্টেরয়েড জাতীয় হরমোনাল ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করা যাবে না।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২২ নভেম্বর ২০২১