গরুর খামার শুরুর পূর্বেই যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা জরুরী

440

১) গরুর খামার শুরুর করার পূর্বেই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন- গবাদিপশুর প্রতি ভালোলাগা কাজ করে কিনা; যদি মন হতে ভালোলাগা থাকে তাহলেই গরুর খামার শরু করতে পারেন।

২) অবশ্যই ভালো মানের গাভী, বকনা বা ষাঁড় দিয়ে খামার শুরু করতে হবে। এতে খামারে লসের ঝুঁকি কমে যাবে। ভালো মানের গরু দিয়ে খামার শুরু করলে খামারের উৎপাদন আশানুরূপ হবে।

৩) খামার শুরুর দিকে ছোট্ট পরিসরে শুরু করতে হবে। কারন- নতুন খামারিদের বাস্তব অভিজ্ঞতা না থাকায় খামারে লোকসানের ঝুঁকি বেশি থাকে।

৪) গরুর ঘর তৈরি করার জন্য শুরুতে বেশি টাকা নষ্ট না করে ছোট আকারে কম খরচে ঘর করতে হবে। সময়ের ব্যবধানে গরুর ঘর বড় করতে হবে তবে তাড়াহুড়ো করা যাবে না।

৫) খামারে চলমান মুনাফা পেতে হলে ডেইরি খামার করতে হবে। এক্ষেত্রে গাভি ও বকনা দিয়ে ডেইরি খামার শুরু করা যায়। কারন- বকনা বা ষাঁড় দিয়ে খামার শুরু করলে খামার ব্যবস্থাপনার সকল খরচ নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত ইরভেস্ট করতে হয় এবং নিদিষ্ট সময় পরে মুনাফা পাওয়া যাবে।

৬) শুরুতেই বকনা দিয়ে খামার শুরু করা ঝামেলার। কারন- বকনা সঠিক সময়ে হিটে আসতে চায় না, হিটে আসলেও বীজ কনসেপ্ট করে না, একবার নয় একাধিক বার বীজ দিতে হয়। এতে নতুন খামারির মধ্যে হতাশা কাজ করে।

৭) নতুন খামারিরা ষাঁড় দিয়ে মোটাতাজাকরনে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করে; যা একটি ভালো উদ্যোগ। এতে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে মুনাফাসহ মুলধন ফেরত পাওয়া যায়। মোটাতাজাকরন প্রজেক্ট যথাক্রমে- ৩ মাস, ৬ মাস ও ১ বছরের হয়ে থাকে।

অতএব, নতুন করে খামার শুরু করতে হলে উপরোক্ত দিকসমূহ বিবেচনা করতে হবে; যদি- আপনি কোন ফার্ম ডেভেলপার ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খামার না করেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০১ ডিসেম্বর ২০২১