ভূমিকাঃ এদেশে প্রাপ্ত প্রায় ২০ মিলিয়ন ছাগলের প্রায় ৯৩ ভাগ পালন করে ক্ষুদ্র এবং মাঝারী ধরণের খামারীরা। বাংলাদেশে প্রাপ্ত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস যেমন সুস্বাদু চামড়া তেমনি আন্তর্জাতিকভাবে উন্নতমানের বলে স্বীকৃত।
তাছাড়া ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা অধিক এবং তারা দেশীয় জলবায়ুতে বিশেষভাবে উৎপাদন উপযোগী। এসব গুনাবলী থাকা সত্ত্বেও ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাণিজ্যিক উৎপাদন এদেশে এখনো প্রসার লাভ করেনি।
এর অন্যতম কারণ ইন্টেনসিভ বা সেমি-ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনের ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব।
ঘরঃ ছাগল সাধারণত পরিষ্কার, শুষ্ক, দুর্গন্ধমুক্ত, উষ্ণ, পর্যাপ্ত আলো ও বায়ূ চলাচলকারী পরিবেশ পছন্দ করে। গোবরযুক্ত, স্যাঁত স্যাঁতে, বদ্ধ, অন্ধকার ও পুতিগন্ধময় পরিবেশে ছাগলের রোগবালাই যেমন: নিউমোনিয়া, একথাইমা, চর্মরোগ, ডায়রিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন জাতীয় সংক্রামক ও পরজীবীয় রোগ হতে পারে। সেই সাথে ওজন বৃদ্ধির হার, দুধের পরিমাণ এবং প্রজনন দক্ষতা কমে যায়।
ঘর নির্মাণের স্থানঃ পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বী, দক্ষিণ দিক খোলাস্থানে ঘর নির্মাণ করা উচিৎ। খামারের তিন দিকে ঘেরা পরিবেশ বিশেষ করে উত্তর দিকে গাছপালা লাগাতে হবে।
ছাগল খামারের স্থান নির্বাচনে অবশ্যই অপেক্ষাকৃত উঁচু এবং উত্তম পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রতিটি পূর্ণ বয়স্ক ছাগলের জন্য গড়ে ৮-১০ বর্গ ফুট জায়গা প্রয়োজন। প্রতিটি বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য গড়ে ৫ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। ছাগলের ঘর ছন, গোল পাতা, খড়, টিন বা ইটের তৈরী হতে পারে।
তবে যে ধরণের ঘরই হউক না কেন ঘরের ভিতর বাঁশ বা কাঠের মাচা তৈরী করে তার উপর ছাগল রাখতে হবে। মাচার উচ্চতা ১.৫ মিটার (৫ ফুট) এবং মাচা থেকে ছাদের উচ্চতা ১.৮-২.৪ মিটার (৬-৮ ফুট) হবে। গোবর ও প্রশ্রাব পড়ার সুবিধার্থে বাঁশের চটা বা কাঠকে ১ সেঃ মিঃ (২.৫৪ ইঞ্চি) ফাঁকা রাখতে হবে। মাচার নিচ থেকে সহজে গোবর ও প্রগ্রাব সরানোর জন্য ঘরের মেঝে মাঝ বরাবর উঁচু করে দুই পার্শ্বে ঢালু (২%) রাখতে হবে।
মেঝে মাটির হলে সেখানে পর্যাপ্ত বালি মাটি দিতে হবে। ছাগলের ঘরের দেয়াল, মাচার নিচের অংশ ফাঁকা এবং মাচার উপরের অংশ এম.এম. ফ্ল্যাক্সিবল নেট হতে পারে। বৃষ্টি যেন সরাসরি না ঢুকে সে জন্য ছাগলের ঘরের চালা ১-১.৫ মিঃ (৩.২৮-৩.৭৭ ফুট) ঝুলিয়ে দেয়া প্রয়োজন।
শীতকালে রাতের বেলায় মাচার উপর দেয়ালকে চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। শীতের সময় মাচার উপর ১০-১২ সেঃ মিঃ (৪-৫ ইঞ্চি) পুরু খড়ের বেডিং বিছিয়ে দিতে হবে। বিভিন্ন বয়সের এবং বিভিন্ন ধরণের ছাগলকে ভিন্ন ভিন্ন ঘরে রাখা উচিৎ। পাঁঠাকে সব সময় ছাগী থেকে পৃথক করে রাখা উচিৎ।
দুগ্ধবতী, গর্ভবতী ও শুষ্ক ছাগীকে একসাথে রাখা যেতে পারে। তবে তাদের পৃক খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। শীতকালে বাচ্চাকে রাতের বেলা মায়ের সাথে ব্রুডিং পেনে রাখতে হবে। ব্রুডিং পেন একটি খাঁচা বিশেষ যা কাঠের বা বাঁশের তৈরী হতে পারে। এর চারপার্শ্বে চটের ব্স্তা দিয়ে ঢাকা থাকে।
খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাই খামারের অন্যতম প্রধান বিষয়। ইন্টেনসিভ এবং সেমি-ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ছাগলের খাদ্যের পরিমাণ ও গুনগত মান নির্ভর করে চারণ ভূমিতে প্রাপ্ত ঘাসের পরিমাণ ও গুনগত মানের উপর।
ছাগলের বাচ্চাকে কলষ্ট্রাম (শাল দুধ) খাওয়ানোঃ সাধারণত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চার ওজন ০.৮-১.৫ কেজি (গড়ে ১.০০ কেজি) ওজন হয়। বাচ্চা জন্মের পরপরই পরিস্কার করে আধা ঘন্টার মধ্যেই মায়ের শাল দুধ খেতে দিতে হবে।
ছাগলের বাচ্চার প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম শাল দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। এই পরিমাণ দুধ দিনে ৮-১০ বারে খাওয়াতে হবে। শাল দুধ বাচ্চার শরীরে এন্টিবডি তৈরী করে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। দুই বা ততোধিক বাচ্চা হলে প্রত্যেকেই যেন শাল দুধ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ছানা সাধারণত ২-৩ মাসের মধ্যে দুধ ছাড়ে।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের দুধ উৎপাদন কম হওয়ায় ২-৩ ছানা বিশিষ্ট মা ছাগীর দুধ কখনো কখনো বাচ্চার প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারেনা।
এক্ষেত্রে ছানাকে পরিমাণমত ৩৭-৩৮ সেঃ তাপমাত্রায় অন্য ছাগলের দুধ বা মিল্ক রিপ্রেসার খাওয়ানো উচিত। ছাগলের বাচ্চার দানাদার খাদ্য মিশ্রণ কম আঁশ, উচ্চ প্রোটিন, উচ্চ বিপাকীয় শক্তি সম্পন্ন হতে হয়।
ছাগলের বাচ্চাকে দানাদার খাদ্য খাওয়ানোঃ
ছাগল ছানা প্রথমে মায়ের সাথেই দানাদার খাবার খেতে অভ্যস্থ হয়। ছাগলের বাচচাকে জন্মের প্রথমে সপ্তাহ থেকে ঘাসের সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। সাধারণত শুরুতে মায়ের সাথেই বাচ্চা ঘাস খেতে শিখে। অভ্যস্থ করলে সাধারণত দুই সপ্তাহ থেকেই বাচচা অল্প অল্প ঘাস খায়। এ সময়ে বাচ্চাকে কচি ঘাস যেমন: দুর্বা, স্পেনডিডা, রোজী, পিকাটুলাম, সেন্টোসোমা, এন্ড্রোপোগন প্রভৃতি ঘাস খাওয়ানো যেতে পারে। তাছাড়া, ইপিল ইপিল, কাঁঠাল পাতা, ধইঞ্চা ইত্যাদি পাতা খাওয়ানো যেতে পারে।
বাড়ন্ত ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের ৩-১২ মাস সময়কালকে মূল বাড়ন্ত সময় বলা যায়। এ সময়ে যেসব ছাগল প্রজনন বা মাংস উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হবে তাদের খাদ্য পুষ্টি চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। দুধ ছাড়ানোর পর থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত সময়ে ছাগলের পুষ্টি সরবরাহ অত্যন্ত নাজুক পর্যায়ে থাকে। এ সময়ে একদিকে ছাগল দুধ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন ও বিপাকীয় শক্তি থেকে যেমন বঞ্চিত হয় তেমনি মাইক্রোবিয়াল ফার্মেন্টেশন থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি সরবরাহও কম থাকে। এজন্য এ সময়ে পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ দানাদার ও আঁশ জাতীয় খাদ্য দিতে হবে। ঘাসের পরিমাণ ও গুনগত মান বেশি হলে দানাদার খাদ্যের পরিমাণ কমবে এবং পরিমাণ ও গুনগত মান কম হলে উপরোক্ত পরিমাণ দানাদার খাদ্যেই চলবে।
ছাগলের ওজন (কেজি)-
দানাদার খাদ্য দৈনিক সরবরাহ (গ্রাম)-
ঘাস সরবরাহ/চরানো (কেজি)-
৪ – ১০০ – ০.৪
৬ – ১৫০ – ০.৬
৮ – ২০০ – ০.৮
১০ – ২৫০ – ১.৫
১২ – ৩০০ – ২.০
১৪ – ৩৫০ – ২.৫
১৬ – ৩৫০ – ৩.০
১৮ – ৩৫০ – ৩.৫
প্রজননক্ষম পাঁঠার খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ পাঁঠার খাদ্য ব্যবস্থাপনা বাড়ন্ত ছাগলের মতই। তবে প্রজননে সহায়তার জন্য প্রতিটি পাঁঠাকে দৈনিক ১০ গ্রাম ভিজানো ছোলা দেয়া প্রয়োজন।
একটি পাঁঠা ১০ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত প্রজননক্ষম থাকে। কোনভাবেই পাঁঠাতে বেশি চর্বি জমতে দেয়া উচিত নয়। ২৮-৩০ কেজি ওজনের পাঁঠার জন্য দৈনিক ৪০০ গ্রাম পরিমাণ দানাদার খাবার দেয়া প্রয়োজন।
দুগ্ধবতী ও গর্ভবতী ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ দুগ্ধবতী ছাগল তার ওজনের ৫-৬ শতাংশ হারে শুষ্ক পদার্থ খেয়ে থাকে। একটি তিন বছর বয়স্ক ২য় বার বাচ্চা দেয়া ছাগীর গড় ওজন ৩০ কেজি হারে দৈনিক ১.৫-১.৮ কেজি শুষ্ক পদার্থ খেয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে ১-১.৫ কেজি পরিমাণ শুষ্ক পদার্থ ঘাস থেকে (৩-৫ কেজি কাঁচা ঘাস) বাকি ০.৫-০.৮ কেজি শুষ্ক পদার্থ দানাদার খাদ্য থেকে দেয়া উচিত। যেহেতু ছাগী বাচ্চা দেয়ার ১.৫- ২.০ মাসের মধ্যে গর্ভবতী হয় সেজন্য প্রায় একই পরিমাণের খাবার গর্ভাবস্থায়ও ছাগলকে দিতে হবে।
সারণী-২: ছাগলের দানাদার খাদ্যের সাধারণ মিশ্রণ (%)
গম/ভূট্টা ভাঙ্গা/চাল- ১২.০০
গমের ভূষি/আটা কুড়া- ৪৭.০০
খেসারী/মাসকালাই/অন্য ডালের ভূষি-১৬.০০
সয়াবিন খৈল- ২০.০০
শুটকি মাছের গুড়া- ১.৫০
ডাই-ক্যালসিয়াম ফসফেট- ২.০০
লবণ- ১.০০
ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স – ০.৫০
মোট= ১০০.০০
ছাগলের চরানোঃ ঘাস সরবরাহের জন্য নেপিয়ার, স্পেনডিডা, পিকাটুলুম, রোজী, পারা, জার্মান ইত্যাদির চাষ করা যেতে পারে। মাঠের চারপার্শ্বে ইপিল ইপিল গাছ লাগানো যেতে পারে। তাছাড়া বর্ষাকালে চারণ ভূমিতে ঘাসের সাথে মাসকালাই ছিটিয়ে দিলেও ঘাসের খাদ্যমান অনেক বেড়ে যায়। শীতকালে অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘাস পাওয়া যায় না। এজন্য এ সময়ে ছাগলকে ইউএমএস (ইউরিয়া ৩%, মোলাসেস ১৫%, খড় ৮২%)-এর সাথে এ্যালজির পানি খাওয়ানো যেতে পারে।
প্রজনন ব্যবস্থাপনাঃ একটা পাঁঠা সাধারণত: ৩/৪ মাস বয়সে যৌবন প্রাপ্ত হয় কিন্তু আট/নয় মাস বয়সের পূর্বে পাল দেবার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। কোন পাঁঠার শারীরিক দুর্বলতা, পঙ্গুত্ব বা কোন যৌন অসুখ সমস্ত পালকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই সেদিকে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে।
দশটি ছাগীর জন্য একটা পাঁঠাই যথেষ্ট। ছাগী যখন প্রমবারে (৫-৬ মাস বয়সে) গরম (Heat) হয় তখন তাকে পাল না দেওয়াই ভাল। এক্ষেত্রে এক/দুইটি হিট বাদ দিয়ে মোটামুটি ১১-১২ কেজি ওজনের সময় পাল দেয়া উচিত। ছাগীর হিটে আসার লক্ষণগুলো হচ্ছে- মিউকাস নিঃসরণ, ডাকাডাকি করবে, অন্য ছাগীর উপর উঠা ইত্যাদি। ছাগী হিটে আসার ১২-৩৬ ঘন্টার মধ্যে পাল দেওয়া উচিত। অর্থাৎ সকালে হিটে আসলে বিকেলে এবং বিকেলে হিটে আসলে পরদিন সকালে পাল দিতে হবে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাঃ ছাগলের খামারে রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য নিয়মিত পিপিআর টিকা, কৃমিনাশক ইত্যাদির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়। ছাগলের সবচেয়ে মারাত্ক রোগ পি.পি.আর এবং গোটপক্সের ভেক্সিন জন্মের ৩ মাস পরে দিতে হয়। বছরে দু’বার বর্ষার প্রারম্ভে (এপ্রিল-মে) কৃমিনাশক এবং বর্ষার শেষে (অক্টোবর-নভেম্বর) ব্রডসেপ্রকট্রাম ক্রিমিনাশক যেমন: নেমাফেক্স, রেলনেক্স ইত্যাদি খাওয়ানো যেতে পারে।
তাছাড়া যকৃত কৃমির জন্য ফেসিনেক্স, ডোভাইন ইত্যাদি ব্যবহার করা প্রয়োজন। কোন ছাগলের চর্মরোগ দেখা দিলে তা ফার্ম থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। যে কোন নূতন ছাগল খামারে প্রবেশ করানোর আগে কমপক্ষে এক সপ্তাহ অন্যস্থানে রেখে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
খামারের সকল ছাগলকে ১৫-৩০ দিন পর পর ০.৫% মেলাথায়ন দ্রবণে ডিপিং করানো (চুবানো) উচিত। তাছাড়া ম্যাসটাইটিসসহ অন্যান্য সংক্রমক রোগের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া বাঞ্ছনীয়।
বাচ্চার ব্যবস্থাপনাঃ
বাচ্চা বয়সে ডায়রিয়া বাচচা মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এজন্য বাচ্চাকে সব সময় পরিচ্ছন্ন জায়গায় এবং পরিমান মত দুধ খাওয়াতে হবে। ফিডার ও অন্যান্য খাদ্য পাত্র সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
জন্মের পর পর বাচ্চাকে পরিস্কার করে নাভি থেকে ৩-৪ সেঃ মিঃ নিচে কেটে দিতে হবে।
যে বাচ্চার মায়ের দুধের পরিমাণ কম তাদেরকে বোতলে অন্য ছাগলের দুধ/বিকল্প দুধ (মিল্ক রিপেসার) খাওয়াতে হবে।
শীতের সময়ে বাচ্চাকে মায়ের সাথে ব্রুডিং পেনে রেখে ২৫-২৮ সেঃ তাপমাত্রায় রাখতে হবে।
বাচ্চা যেন অতিরিক্ত দুধ না খায় তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
যেসব পাঁঠা বাচ্চা প্রজনন কাজে ব্যবহৃত হবে না তাদেরকে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে খাসি করাতে হবে।
-লেখক : উপসহকারী কৃষি অফিসার
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৮ ডিসেম্বর ২০২১