মুরগির ই কলাই রোগ বা কলিব্যাসিলোসিস

2107

মুরগির ই কলাই রোগ বা কলিব্যাসিলোসিস (Colibacillosis)। Escherichia coli নামকগ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া থেকে মুরগির মুরগির ই কলাই রোগ বা কলিব্যাসিলোসিস সৃষ্টি হয়। সব বয়সের মোরগ-মুরগি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

রোগ পরিচিতি
রোগ ছড়ানোর মাধ্যম
মুরগির ই কলাই রোগের লক্ষণ
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট
মুরগির ই কলাই রোগের চিকিৎসা

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা
রোগ পরিচিতি
রোগের নাম কলিব্যাসিলোসিস (Colibacillosis )
রোগের ধরণ মুরগির ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ
জীবাণুর নাম Escherichia coli ই কলাই

সংক্রমণ পোল্ট্রি
মৃত্যুর হার কম
সংক্রমন সময় যেকোন বয়সে।
চিকিৎসা চিকিৎসায় রোগ সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়।

রোগ ছড়ানোর মাধ্যম
খাদ্য ও পানির মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে।
বাহক মুরগি বা আক্রান্ত মুরগির ডিমের মাধ্যমে বাচ্চাকে আক্রান্ত করতে পারে।
মুরগির চারপাশের জিনিসপত্র হতে যে কোনো সময় এ ধরনের জীবাণু সুস্থ রোগীকে আক্রান্ত করতে পারে।
মুরগির ই কলাই রোগ বা কলিব্যাসিলোসিস
মুরগির ই কলাই রোগের লক্ষণ
মুরগির শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়।
আক্রান্ত পাখিগুলো হাঁটাচলা করতে চাইনা, স্বাস্থ্যহানি ঘটে।
পরে আস্তে আস্তে মারা যেতে থাকে।

কোন কোন সময় পাতলা পায়খানা করে এবং পেটে পানি জমে থাকে।
মলদ্বারে সাদা সাদা আঠালো পদার্থ দেখতে পাওয়া যায়।
মুরগির পায়খানার পথে প্রজননতন্ত্রের কোন অংশ বের হয়ে আসতে পারে।
ডিম পাড়া মুরগির ডিম উৎপাদন কমে যায়।

পোস্টমর্টেম রিপোর্ট
অন্ত্রে প্রদাহ দেখা যায় এবং ফুলে যায়।
তল পেটে পানি দেখা যাবে এবং তলপেট থেকে পচা গন্ধ পাওয়া যাবে।
যকৃত বা লিভার, হার্ট এবং তলপেটের উপর ফাইব্রিন পাওয়া যাবে।
মুরগির ই কলাই রোগের চিকিৎসা
নিচে উল্লেখিত যেকোনো একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে। ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ পোল্ট্রি কনসালটেন্ট বা প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।

মিরামিড- প্রতি লিটার খাবার পানিতে 1 গ্রাম নিশি তিন থেকে পাঁচ দিন খাওয়াতে হবে।
সিপ্রো এ ভেট- প্রতি লিটার খাবার পানিতে 1 গ্রাম মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন খাওয়াতে হবে।
কসুমিক্স প্লাস- প্রতি লিটার খাবার পানিতে 2.0 থেকে 2.5 গ্রাম মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন খাওয়াতে হবে।
মাইক্রোনিড- প্রতি লিটার খাবার পানিতে 1 থেকে দুই গ্রাম মিশিয়ে তিন থেকে পাঁচ দিন খাওয়াতে হবে।

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা

যেসব মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে ওইসব মাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণ করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। মুরগির খামারে সর্বদা স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করা উচিত।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৩ জানুয়ারি ২০২২