ফার্মের যে সমস্যা যা কোন দিন সংশোধনের সুযোগ নাই,আবার কিছু আছে পরের ব্যাচে করা যায়,কিছু আছে সাথে সাথে করা যায়।
তাই ফার্মের কাজ গুলো সেভাবেই করতে হবে যাতে পরে আফসোস না করতে হয়।
১.সংশোধনের সুযোগ নাই সেড/ফার্ম। একবার সেড ভুল করে করলে আজীবন সেই ক্ষতি মেনে নিতে হবে।তাই আগেই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে সেড বানাতে হবে।
পুজি। এটাও আগে থেকে হিসাব করে শুরু করতে হবে।মাঝপথে অর্থের সংকট দেখা দিলে সব ব্যর্থ হবে।
সিধান্তঃ এটাইও আগেই থেকেই নেয়া উচিত।পরে নিলে ভাল হয়না।
২.পরের ব্যাচে সংশোধনের সুযোগ আছে -বাচ্চা। বাচ্চা খারাপ হলে সেটার রিজাল্ট খারাপ হবে।তাই ভাল বাচ্চা নিতে হবে।
এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ বাচ্চার কারণেই অনেক সময় লাভ লস নির্ভর করে।
২.সাথে সাথে সংশোধনের সুযোগ আছে।-ব্যবস্থাপনা (কিছু কিছু) বয়সের সাথে সম্পর্কিত.বয়স কম হলে সংশোধনের সুযোগ থাকে বেশি হলে সম্মব হয়না। -চিকিৎসা( যে কো রোগ/সমস্যার সমাধান এর সুযোগ আছে যদি এক্সপার্ট ডাক্তারকে আনা হয়।সাথে সাথে বা পরের ব্যাচে সংশোধন করতে হয়ঃ-লিটার-পর্দা-খাবার
প্রতিটা ফার্মেই কিছু দূর্বলতা আছে আবার কিছু স্টেন্থ/ভাল দিক আছে।সেগুলো খেয়াল রাখা উচিত।যেমন কারো ফার্ম টি ভাল।আবার।ব্যবস্থাপনা ভালনা।কারো খাবার ভাল কিন্তু বাচ্চা ভাল নাকারো খাবার,বাচ্চা ভাল কিন্তু ব্যবস্থাপনা ভাল না।কারো আবার সবই ভাল কিন্তু চিকিৎসা ভাল না।একেকজন খামারী একেকভাবে সুবিধা পায়।যত বেশি ভাল দিক হবে লাভও তত বেশি হবে।
ব্যবস্থাপনার মধ্যে কারো পর্দা ব্যবস্থাপনা ভাল না,কারো লিটার ব্যবস্থাপনা,কারো খাবার ব্যবস্থাপনা ভাল না কারো ভ্যাক্সিন এবং মেডিকেশন ব্যবস্থাপনা ভাল না।কারো পানি ব্যবস্থাপনা ভাল না।মানে একেক জনের একেক্টা ভাল আবার একেক্টা খারাপ।
গ।২০ সপ্তাহের আগে ফার্মের ব্যবস্থাপনায় কি কি ভুল করা হয়েছে তার একটা লিস্ট খামারে থাকা ভাল।নাহলে মাঝপথে ডাক্তারকে সব ধরিয়ে বললে ডিম ত ৯৫% আসে নাই।আসলে ব্যবস্থাপনা যে ভাল ছিলনা তা বলবে না তাই সেই ভুল গুলো লিখিতভাবে রেখে দেয়া উচিত যাতে।দেখানো যায় এই সমস্যা গুলো আগে ছিল
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৬ জানুয়ারি ২০২২