মুরগির ভিসেরাল গাউট বা কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি কি কাজ রয়েছে সেগুলো পোলট্রি খামারিদের জেনে রাখতে হবে। অধিক লাভবান হওয়ার আশায় আমাদের দেশের অনেকেই এখন মুরগি পালন করছেন। খামারে মুরগি পালনের সময় বেশ কিছু রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আসুন আজকে জেনে নিব মুরগির ভিসেরাল গাউট বা কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে-
রোগের কারণঃ
ব্রুডিং এর সময় তাপমাত্রা যদি খুব বেশি বা কম হয় তখন বাচ্চা পানি কম খায়।
অতিরিক্ত মাত্রায় এন্টিবায়োটিক সাফাড্রাগ, তুতে খাওয়ালে
অপর্যাপ্ত পানির পাত্র বা দীর্ঘ সময়ব্যাপী যদি পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ না থাকে।
অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ভিটামিন, ডি-৩ অ্যামাইনো এসিড ও প্রোটিন খাওয়ানো।
মাইকো টক্সিন।
অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি বাচ্চাকে দিলে পানি পানি কম খায়।
বাচ্চা পরিবহনের সময় যদি ধকল পড়ে।
রোগের লক্ষণঃ
রোগের শুরুর দিকে বাচ্চা বা মুরগি পানি ও খাদ্য কম খাবে, ঝিমাবে, পায়ুপথ ভেজা থাকবে। ময়নাতদন্ত করলে পেটের ভিতর সাদা চকের পাউডারের মত ইউরেট পাওয়া যাবে। কিডনি ফুলে যাবে এবং সাদাটে হবে।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়ঃ
শীতকালে কুসুম গরম পানি ও অত্যাধিক গরমে ঠান্ডা পানি খাওয়াতে হবে।
পানির পাত্র পরিমিত রাখতে হবে এবং সবসময় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
স্বনামধন্য হ্যাচারির ভালো বাচ্চা নিতে হবে।
পানি ও খাবার পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
ব্রুডিং তাপমাত্রা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ভিটামিন D-3 অ্যামিনো এসিড প্রোটিন খাওয়ানো যাবে না।
ভালো মানের খাদ্য খাওয়াতে হবে।
এই রোগের জন্য পান পাতার রস খুবই উপকারী। প্রতি ১০০০ বাচ্চা বা মুরগির জন্য প্রতিদিন ৩০০-৫০০ গ্রাম পান পাতা রস করে এক বেলা পানিতে পরপর ৩ দিন খাওয়াতে হবে।
সর্বোপরি একজন দক্ষ ও রেজিষ্টার্ড প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে খাওয়াতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৭ জানুয়ারি ২০২২