১।একটা ফার্ম থেকে আরেকটা ফার্ম নির্দিস্ট দূরত্বে(৩০০ফুট) করতে হবে
আক্রান্ত ফার্ম দূরে হলে জীবাণুর সংস্পশে আসার সম্বাবনা কম থাকে।
মেইন রাস্তা থেকে ৩০০ফুট দূরে করতে হবে
২।ক্লিনিং,ডিসইনফেকশন এবং ডাউন টাইম ৫%
ভালভাবে ফার্ম পরিস্কার করলে ৮০% জীবাণু কমে যায়।
মুরগি বিক্রির দিন বা পরের দিনই ড্রাই ক্লিনিং করে লিটার,ডাস্ট,ডার্ট সরিয়ে ফেলতে হবে।
তারপর পানি ও জীবাণূনাশক দিয়ে ছাদ,ওয়াল,ফ্লোর ও ইকোইমেন্ট পরিস্কার করতে হবে।
জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করে ১৪-২১(ডাউন টাইম)দিন রেস্টে রাখতে হবে।
আর যদি কলেরা,গাম্বোরু,রানিক্ষেত,মেরেক্স,এ আই ,পক্স,টাইফয়েড রোগ হয়ে থাকে তাহলে পরিস্কার করার পর ২মাস গ্যাপ দিয়ে মুরগি তুলতে হবে।
নোটঃ১০০০ বর্গফুট জায়গায় জন্য ২বস্তা সিমেন্ট ফ্লোরে দিয়ে মিশিয়ে দিতে পারেন,পরের ব্যাচে সেটা আবার তুলে আবার দিবেন।
৩।অল ইন আল আউট ৫%
একই বয়সের মুরগি অসুস্থ কম হয় কারণ বয়সের সাথে ডিজিজের সম্পর্ক আছে।বাচ্চা মুরগি বয়স্ক মুরগি থেকে আক্রান্ত হয়।
তাছাড়া সব সময় মুরগি ফার্মে থাকলে জীবানূ তার হোস্ট পেয়ে যায় যার কারণে জীবাণূ মুক্ত বা দূর করা কঠিন হয়ে যায়।
৪।বাচ্চার কোয়ালিটি এবং ম্যাটার্নাল এন্টিবড.১০%
ব্রিডারে যদি সব ভ্যাক্সিন ভাল করে দেয়া থাকে তাহলে বাচ্চাতে এন্টিবডি আসবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হবে এবং দীর্ঘ স্থায়ী হবে।
এন্টিবডি অনুযায়ী গাম্বোরু টীকা দিতে হবে।একই ওজনের এবং সাইজের,একই ব্রিডের ও বয়সের বাচ্চা দিতে হবে।সাল্মোনেলা,ইকলাই,মাইকোপ্লাজমা,এস্পাজিলাস মুক্ত বাচ্চা নিতে হবে।
৫।বায়োসিকিউরিটি(২০%)
বায়োসিকিউরিটি অনেক বড় একটা বিষয় যার ভিতর প্রায় সব কিছু আছে যার মাধ্যমে ২০% জীবাণূ কমানো যাবে।
বায়োসিকিউরিটির ভিতর আছে কনসেপসোয়াল(সেড টি কোঠায় হবে),স্টাকসারাল(সেড টী কত উচ্চতা,ক্ত দূরে বানাতে হবে),অপারেশনাল(স্প্রে এবং ভিজিটর কন্টোল,বাহির থেকে যাতে জীবানূ না ঢুকে)
ইদুর,বন্য পাখি,পোকামাকড় থেকে ফার্ম কে মুক্ত রাখতে হবে
৬।নিউট্রিশন(১০%)
খাবার ও পানি যাতে ভাল হয় এতে মুরগি অসুস্থ কম হবে,স্ট্রেস মোকাবেলা করতে পারবে।
৭।ভাল ব্যবস্থাপনা(২০%)
লিটার ভাল মানে ৫০% মুরগি ভাল ।
পর্দা যদি ঠিক মত দেয়া হয় তাহলে অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা যাবে ।
বডি ওয়েট ঃওজন ভাল হলে এবং একই সাইজের হলে রোগ ব্যাধি কম হবে।
কালিং,অসুস্থ মুরগি কালিং করতে হবে
সিজনাল ব্যবস্থাপনা(গরম,শীত,বর্ষা কালের সমস্যা আলাদা তাই সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
৮।ডিজিজ সারভেলেন্স ৫%
খাবার ও পানি ঠিক আছে কিনা,ভেন্টিলেশন ঠিক আছে কিনা,খাচায় লাইন ঠিক আছে কিনা।ফার্মের চারদিকে ভেড়া আছে কিনা,ডিম খায় কিনা।
ফার্মে সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
৯।ভ্যাক্সিনেশন ১০%
সঠিক বয়সে,সঠিক স্ট্রেইনের দক্ষ লোক দিয়ে ভ্যাক্সিন করলে সমস্যা হবে না।১০%
১০।এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার ৫%
মুরগিকে উপযুক্ত পরিবেশ,পরিস্কার খাবার,হাউজিং।সব ধরণের ধকল থেকে মুক্ত রাখতে হবে।
১১।সঠিক ডায়াগ্নোসিস ৩০%
ডায়াগনোসিস সঠিক হলে এন্টিবায়োটিক কম লাগে এমন কি অনেক সময় লাগে না,৩০% এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো যাবে।ডায়াগ্নোসিস ঠিক না হলে এন্টিবায়োটিক চলতে থাকে।তাছাড়া বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে চিকিৎসা করলেও এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কিছুটা কমে যাবে।
ডিমার ও খামারী যদি সচেতন হয় এবং ডাক্তারের চিকিৎসা ফলো করে তাহলেও ২০% কমে যাবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২