মাগুরায় পোল্ট্রি খামারে ব্যবহার হচ্ছে মানুষের ওষুধ। এ জেলায় মাংস উৎপাদনের জন্য বাণিজ্যিকভাবে পালন করা ব্রয়লার এবং সোনালি মুরগি পালন করতে হর। হামেশাই ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষের ওষুধ। বিশেষ করে মুরগির তাপমাত্রা বাড়লে প্যারাসিটামল, ঠাণ্ডার লক্ষণ হলে সিপ্রোফ্লক্সাসিন, কাশির সমস্যায় এমব্রোক্সল হাইড্রোক্লোরাইড, কিডনি সমস্যা হলে এলোপুরিনল গ্রুপের ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও ভিটামিন সি, ওরস্যালাইন ও গ্লুকোজ কোন ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই সাধারণ ডিসপেনসারি থেকে কিনে ইচ্ছা স্বাধীন মতো মাংস জাতীয় মুরগির একদিনের বাচ্চা থেকে শুরু করে পূর্ণ্ বয়স্ক মুরগির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন ওষুধ গ্রহণকারী মুরগির মাংস খেয়ে মানুষের শরীরে ওষুধ ব্যবহারের কার্যকারিতা হারিয়ে যাচ্ছে।
খামারি রায়হান বলেন, আমরা আগে যে ওষুধ দিতাম তাতে কাজ হতো। কিন্তু ইদানীং এক ওষুধ আনলে কাজ হয় না। এক ডোজের পর আবার এক ডোজ দেয়া লাগে। দেখা যাচ্ছে সে ডোজের পর আবারো এক ডোজ দেয়া লাগে। এর ফলে ওষুধের খরচ অনেক বেশি। কিন্তু মুরগি বিক্রি করতে গেলে, খরচ অনুপাতে দাম পাই না। যার কারণে খরচ কমানোর জন্যই মানুষের ওষুধ ব্যবহার করে থাকি।
আরেক খামারি জানান, পোল্ট্রি ওষুধদের দাম বেশি হলেও গুণগত মান ঠিক না থাকায় তারা মানুষের ওষুধ ব্যবহারের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছে। ফলে একদিকে সাশ্রয় হচ্ছে এবং রোগবালাই সারাতে কাজও বেশি হচ্ছে।
মুরগি ক্রেতা ইমরান বলেন, মানুষের ওষুধ মুরগিতে ব্যবহার হচ্ছে জানি, যা মোটেই ঠিক নয়। আমরা তো জানি না, কোনটা আসল-কোনটা ভেজাল।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাদিউজ্জামান জানান, মাগুরা জেলাতে ৮৪টি লেয়ার খামার এবং প্রায় ৯০০টি মাংস উপাদনের খামার রয়েছে। পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান ঠিক না থাকায় খামারিরা বিকল্প হিসেবে মানুষের ওষুধ ব্যবহার করছে। যথা নিয়মে ওষুধ প্রয়োগ হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা হ্রাস পাবে। খামারিদের উপযুক্ত ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ওষুধ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।সূত্রঃ ঢাকা টাইমস
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২