সেখ জিয়াউর রহমান, রংপুর প্রতিনিধি: দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। শিশু, দুগ্ধবতী মা এবং বয়ঃসন্ধিপ্রাপ্ত যুবতীদের মাঝে পুষ্টিহীনতা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্র’র (সিআইপি) আয়োজনে আজ (৯ মার্চ) রংপুরের পুলিশ কমিউনিটি হলে পুষ্টির জন্য কমলা শাঁসযুক্ত মিষ্টিআলু বিষয়ে দিনব্যাপি এক জ্ঞানবিনিময় কর্মশালায় বিশেষজ্ঞগণ এসব কথা বলেন।
কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহ আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক স ম আশরাফ আলী, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (আরএআরএস) রংপুরের ইনচার্জ ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বদরুজ্জামান, রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. জাকিরুল ইসলাম, সিআইপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মীর আজগর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. আব্দুল আজিজ। প্রধান অতিথি বলেন, কমলা শাঁসযুক্ত মিষ্টিআলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও খনিজ পদার্থ আছে। প্রতিদিন প্রায় ১২৫ গ্রাম মিষ্টিআলু খেলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ’র চাহিদা মেটানো সম্ভব, যাতে শিশু রাতকানা এবং অন্ধত্ব থেকে রেহাই পাবে। কমলা শাঁসযুক্ত মিষ্টিআলু ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ প্রতিরোধ ও ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপপরিচালক স.ম আশরাফ বলেন, মিষ্টিআলুর পাতা শাক হিসেবে খুবই সুস্বাদু। যা ভিটামিন এ এবং সি’র ভালো উৎস। শাক হিসেবে মিষ্টি আলুর পাতা সারা বছরই পাওয়া যায়। কৃষি গবেষণা ইনর্চাজ ড. মো. বদরুজ্জামান বলেন, কমলা শাঁসযুক্ত মিষ্টিআলু বসতবাড়ির আশ-পাশে পতিত জায়গায়, বাগান ও পুকুর পাড়ে চাষ করা যায়। সামান্য শ্রম, সার, সেচ ও শস্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কমলা শাঁসযুক্ত মিষ্টিআলুর উৎপাদন সম্ভব। কর্মশালা শেষে উপস্থিত সকলে মিষ্টিআলু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন রকমারি খাবারের স্টল পরিদর্শন করেন।