যে কৌশলে দেশি মুরগিকে খাদ্য দিলে বেশি লাভ

388

দেশি মুরগির খাদ্য প্রয়োগে যা জানা জরুরী তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। দেশি মুরগি পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে খাদ্য প্রয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাদ্য প্রয়োগের সঠিক পদ্ধতি অনেকেই জানেন না। চলুন জেনে নেই দেশি মুরগির খাদ্য প্রয়োগে যা জানা জরুরী সে সম্পর্কে-

দেশি মুরগির খাদ্য প্রয়োগে যা জানা জরুরীঃ
যারা মাংসের জন্য দেশী মুরগি পালন করেন প্রায়ই অভিযোগ করেন বাজারে কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাওয়া যায় না। বেপারীরা ফিড খাওয়ানো, সোনালী মুরগির মত লাগতেছে এসব বলে কম মূল্য দিতে চায়। আসলে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে প্রাকৃতিক উপায়ে বড় হওয়া দেশী মুরগি আর একেবারে ফিড নির্ভর দেশী মুরগির স্বাদে বেশ তারতম্য রয়েছে এবং ফিড নির্ভর মুরগি কম চটপটেও বটে।

তাই এ ধরনের বিড়ম্বনা এড়াতে অর্থাৎ দেশী মুরগির উৎপাদন খরচ কমাতে এবং স্বাদ ও আচরণ ঠিক রাখতে একটি পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল-

সাধারণত ফার্মে বাচ্চা ১ম মাস ২৪ ঘন্টা আলোতে রেখে ব্রয়লার স্ট্রাটার খাওয়ানো হয়।
২ য় মাস থেকে আলোতে রাখা হয় ১৪-১৬ ঘন্টা আর খাবার দেয়া হয় ধান, গম, ভুট্টা ভাঙ্গা ও প্রোটিন/ফিসমিল ও কাঁচা ঘাস।

সাধারণত ৬০ কেজি ভুট্টা ভাঙ্গার সাথে ২০ কেজি ধান, ২০ কেজি গম, ২ কেজি লবণ একত্রে মিক্স করা হয়। এ মিক্সার সিদ্ধ করে প্রতি ১ কেজি মিক্সারের সাথে ৮০-৯০ গ্রাম প্রোটিন/ফিসমিল মাখিয়ে খেতে দেই।

১ মাস বয়সের প্রতি পিস দেশি মুরগির বাচ্চার জন্য ১ম সপ্তাহে ৩০ গ্রাম করে উক্ত মিক্সার দেয়া হয়। প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫ গ্রাম খাবার বাড়ানো হয়। উপরোক্ত খাবারের সাথে পর্যাপ্ত কাঁচা ঘাস দেয়া হয়। এ মিক্সার ৩১ দিন থেকে বিক্রি করা পর্যন্ত খাওয়ানো হয়।
উল্লেখ্য দেশী মুরগির কৃর্মির প্রভাব বেশী হওয়ায় বাচ্চার বয়স ৪৫ পার হওয়ার পর কৃমিডোস করা হয়।

এভাবে একটা দেশী মুরগি ১ম মাসে ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম ব্রয়লার স্ট্রাটার, ২য় মাসে উক্ত মিক্সার ১০০০ থেকে ১২০০ গ্রাম এবং ৩য় মাসে ১৫০০ থেকে ১৭০০ গ্রাম খাবার খায়।
এ খাবার খেয়ে একটা দেশী মুরগি ৮০ থেকে ৮৫ দিনে গড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য যে, ৭০ দিনের পর হতে দেশি মুরগির গ্রোথ খুব কম হয়। তাই যারা ৮০০ থেক ৯০০ গ্রাম ওজনের মুরগি উপযুক্ত দামে বিক্রি করা যায়।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১২মে ২০২২