পাইকারি বাজারে কমে গেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ২০-২৫ টাকা। মুরগির দামের এমন দ্রুত পতনে হতাশ দেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি থেকে শুরু করে দেশের পোল্ট্রি সংশ্লিষ্টরা। এমতাবস্থায় প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে লোকসান। এতে করে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসছেন প্রান্তিক খামারিরা।
গত ১৭ মে ২০২২ তারিখে বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (বি.পি.কে.আর.জে.পি) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(পিপিবি) এর বাজারদর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সারাদেশে খামারি পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি গড়ে ১১৫-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকায়। এছাড়াও টাংগাইল, নোয়াখালী, ময়মনসিংহে ১১৬ টাকা, গাজীপুরে ১১৮ টাকা, ফরিদপুরে ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়। খামারিরা গড়ে ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি করলেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা প্রত্যাশামতো লাভ করলেও পাইকারী বাজারে মুরগির দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন খামারিরা।
পোল্ট্রি খামারিরা জানিয়েছেন, মুরগির খাদ্য, শ্রমিকের মজুরি, ভ্যাকসিন, ঔষধপাতি, বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচসহ প্রতি কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে খরচ পড়ে প্রায় ১৪০-১৪৫ টাকা। কিন্তু বর্তমানে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা দরে। এতে করে প্রায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে লোকসান হচ্ছে প্রায় ৩০-৪০ টাকা। মুরগির বাজার এরকম চলতে থাকলে পোল্ট্রি খামার বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা বলেও জানান খামারিরা। যদিও ইতোমধ্যে অনেক খামারি পুঁজি হারিয়ে হয়েছেন নিঃস্ব গুটিয়ে নিয়েছেন ব্যবসা।
চাকুরীর পাশপাশি পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে জড়িত নতুন উদ্যোক্তা খন্দকার মাহবুব akkbd.com কে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন ব্রয়লার উৎপাদনকারী প্রান্তিক খামারিরা। ইতোমধ্যে লোকসানের মুখে পড়েছেন অনেকেই খামারি। লোকসান গুনতে গুনতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রয়লার মুরগি উপাদনকারী থেকে শুরু করে ডিম উৎপাদনকারী পর্যন্ত যেসব খামারি আছে তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকারের একটি পোল্ট্রি বান্ধব নীতিমালা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে । তা না হলে এই সম্ভাবনাময় সেক্টরটি ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৯মে ২০২২