মুরগির বাচ্চার আচরণ অনুযায়ী যেমন ব্যবস্থা নিতে হবে

380

ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে বর্তমান সময়ে ব্যাপকহারে পোল্ট্রি তথা মুরগির খামার গড়ে উঠেছে আমাদের দেশে। তবে মুরগির আচরণ অনুযায়ী যদি নেয়া যায় ব্যবস্থা তাহলে আসবে আরও সম্মৃদ্ধি এই খাতে।

মুরগির খামারে বাচ্চার আচরণ অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা:
খামারে বাচ্চা আনার পরই প্রথমে দেখতে হবে সুস্থ আছে কিনা। সুস্থ বাচ্চাকে গ্লুকোজ না দেওয়াই ভালো। তবে গরমের দিনে ভিটামিন সি জাতীয় উপাদান পানির সাথে দেওয়া যেতে পারে। আর শীতের দিন পানির কুসুম গরম করে দিতে হবে। নিয়ে আসার পর বাচ্চাগুলোকে ব্রুডারে উঠানোর আগেই প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি প্রদান করতে হবে। খাদ্য ও পানি প্রদানের পরেই ব্রুডারে নিয়ে আসতে হবে।

প্রয়োজনে খামারে নিয়ে আসা বাচ্চাগুলোকে ভিটামিন প্রদান করতে হবে। আর তেমন প্রয়োজন না হলে ভিটামিন প্রদানের কোন দরকার নেই। পোল্ট্রি খামারে বাচ্চা আনার পর যদি দেখা যায় বাচ্চা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে তাহলে সেই বাচ্চাগুলোকে গ্লুকোজ পানি প্রদান করতে হবে। এতে করে বাচ্চাগুলো শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল হয়ে উঠবে। এই সময়ে বাচ্চাগুলোকে ভিটামিন সি জাতীয় কিছু প্রদান করা যেতে পারে।

খামারে পালন করা বাচ্চাগুলো যদি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকে তাহলে কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক ছাড়াই ব্রুডিং করতে হবে। সুস্থ বাচ্চাগুলোতে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।বাচ্চা নিয়ে আসার পর যদি দেখা যায় বাচ্চাগুলো ডিহাইড্রেশনে আছে তাহলে সেগুলোকে স্যালাইন প্রদান করতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০৬জুলাই ২০২২