ব্রয়লার
ব্রয়লারে ৩ ধরণের খাবার দেয়া হয়।
স্টাটার/প্রিস্টাটার ১-১৫দিন খাবারের সাইজ 0.৫ মিলি
গ্রোয়ার ১৬-২৫দিন সাইজ ২মিলি
ফিনিশার ২৬-৪০দিন সাইজ ২.৫-৩মিলি
ফিনিশার খাবার ৭০% খামারী খাওয়ায় না তবে খাওয়ানো উচিত।এতে খরচ কমবে আর মাংসের স্বাদ ভাল হবে।
(০-১২দিনের খাবারকে কোন কোম্পানী স্টাটার বলে কেউ প্রিস্টাটার বলে)
স্টাটার/প্রিস্টাটার খাবার ক্রাম্বল(ভাংগা ) হয় আর গ্রোয়ার আর ফিনিশার পিলেট করা হয়।ক্রাম্বল টা পিলেট রুপেই থাকে বাচ্চার সুবিধার জন্য ভেংগে ফেলা হয় যাকে ক্রাম্বল নামে ডাকা হয়।
বয়স অনুযায়ী খাবারে পুস্টিগুণের পরিবর্তন হয়।
স্টাটার/প্রিস্টাটারে প্রোটিন ২১-২৩% এনার্জি ৩০০০-৩১০০ কিলোক্যালরি
গ্রোয়ারে ২১-২২% এনার্জি ৩১০০-৩২০০ কিলোক্যালরি
ফিনিশারে ১৯-২০% এনার্জি ৩১০০-৩৪০০ কিলোক্যালরি
শীত গরম অনুযায়ী এনার্জি কম বেশি হয়।
শীতে এনার্জি ৩৩০০-৩৪০০ কিলোক্যালরি দিতে হয়।
গরমে প্রতি মুরগির জন্য এনার্জি ২৪০-২৭০ ক্যালরি
আর শীতে মুরগি প্রতি ২৭০-৩২০ক্যালরি
লাইসিন ১- ১.৩%
মেথিওনিন 0.৪৫-০.৫৫%
ক্যালসিয়াম ১-১.৩ ফসফরাস 0.৬-0.৭৫%
ফ্যাট ৫-৬%
ফাইবার ৪-৫%
আর্দ্রতা ১০-১২%
ইথার এক্সাট ৩-৪%
শীত গরম অনুযায়ী খাবার দেয়ার ধরণ ও ভিন্ন হয়।
শীতে সব খাবার পাত্রে খাবার রেখে দেয়া ভাল।
গরমে দুপুরে বিশেষ করে গরমের সময় খাবার বন্ধ রাখা ভাল।
লেয়ার
লেয়ারে ৪-৬ ধরণের খাবার দেয়া হয়
প্রিস্টাটার ১-৫ সপ্তাহ
স্টাটার ৬-১০ সপ্তাহ
গ্রোয়ার ১১-১৭
প্রিলেয়ার ১৮-২১ সপ্তাহ
লেয়ার লেয়ার /লেয়ার ১ঃ ২২-৫৫ সপ্তাহ
লেয়ার ২ ৫৬-বিক্রির আগ পর্যন্ত
একেক কোম্পানীর একেক নিয়ম তবে সবই কাছাকাছি।ওজন যদি কম হয় তাহলে স্টাটার খাবার কিছুদিন বেশি দিতে হয়।
কোয়ালিটি এবং নারিশ কোম্পানীর প্রিস্টাটার এবং প্রিলেয়ার খাবার আছে তবে সব কোম্পানীর নাই।
লেয়ার ২ খাবার ও ৭০% খামারী খাওয়ায় না।তবে খাওয়ানো উচিত।কারণ এই বয়সে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় আবার প্রোটিন এবং ফ্যাট বেশি থাকে তাই লেয়ার ২কে সেইভাবেই বানানো হয় যাতে চাহিদা পূরণ করতে পারে।
টাইপ প্রোটিন এনার্জি ক্যালসিয়াম
প্রিস্টাটার ১৮-২০% ২৮০০-২৯০০ ১%
স্টাটার ১৮-১৯ ২৮০০-২৮৫০ ১
গ্রোয়ার ১৬-১৮ ২৭০০-২৮০০ ১-১.২
প্রিলেয়ার ১৭-১৭.৫ ২৭০০ -২৭৫০ ২-২.৫
লেয়ার লেয়ার /লেয়ার ১ ১৬.৫-১৮ ২৬০০-২৮০০ ৩.৫-৪
লেয়ার ২ ১৬-১৭ % ২৬০০-২৮০০ ৪.৫-৪.৭
ফ্যাট ২.৫-৪.৫%
ফাইবার ৩.৫-৫%
আর্দ্রতা ৮-১২%
এশ ১৩-১৫%
লেয়ারের ম্যাশ খাবারই অধিকাংশ কোম্পানী তৈরি করে তবে কিছু কোম্পানী ( কোয়ালিটি ,নারিশ)ক্রাম্বল খাবার তৈরি করে বিশেষ করে প্রিস্টাটার ,স্টাটার এবং গ্রোয়ার খাবার।কয়েক টা কোম্পানী এ সি আই,প্যারাগন এবং আফতাব এরা লেয়ার ১ পিলেট খাবারও তৈরি করে।
খাবার কতবার দেয়া উচিত;
১মদিন ৩-৪ ঘন্টা পর পর দেয়া ভাল
২-৩দিন ৬ ঘন্টা পর পর
৪-১৪দিন দিনে ৩-৪ বার
৩-৮ সপ্তাহ দিনে ৩ বার।
৯-১৮ সপ্তাহ দিনে ২বার
সব সময় যদি পাত্রে খাবার থাকে এতে খাবারের মান নস্ট হয়।খাবারের রুচি কমে যায়।বেচে বেচে বড় ভুট্রা খায়।খাবারের গুড়া মানে প্রোটিন ও ভিটামিন মিনারেলস খায় না ।এতে মুরগি ছোট বড় হয়।
সব চেড়ে বড় যে সমস্যা তা হলো ক্রপ এবং ইন্টেস্টাইনের বৃদ্ধি কম হয়।
বৃদ্ধি কম হলে পরবর্তীতে বিশেষ করে ১৮ সপ্তাহে খাবার কম খাবে,ওজন কম খাবে,প্রডাকশন ভাল হবে না।
খাবার অফ দিতে দিলে একবারে বেশি খাবার খায় এতে ইন্টেস্টাইনের এবং ক্রপের বৃদ্ধি ভাল হয় এতে বেশি খাবার খেতে পারে ।
শীতে ও গরমে খাবারে ফর্মুলা ভিন্ন হয়।
শীতে এনার্জি বেশি দিতে হবে আর গরমে প্রোটিন ,ভিটামিন মিনারেলস এবং টক্সিন বাইন্ডার বাড়িয়ে দিতে হয়।
নোটঃ
সাদা লেয়ারে এনার্জি (৫০-১০০ ক্যালরি/কেজি) বেশি লাগে আর প্রোটিন ১% কম লাগে।লাল লেয়ারে ঠিক তার উল্টো ।শুধু লেয়িং পিরিয়ডে এই সিস্টেম।বাকি সময় একই ফর্মুলা
ফার্মসএন্ডফার্মার/২১আগস্ট ২০২২