একটি চক্র সিন্ডিকেট করে ডিমের দাম বাড়িয়েছে। অথচ প্রান্তিক খামারিরা ডিমের ন্যায্যমূল্য পান না। তারা বছরের পর বছর লোকসান দেন দাবি খামারিদের। তাদের দাবি,সিন্ডিকেটের হাত থেকে পোলট্রি শিল্পকে রক্ষায় ডিমের দাম বেধে দিতে হবে।
সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে পোলট্রি শিল্পের বর্তমান সংকট শীর্ষক আলোচনাসভায় তারা এসব কথা বলেন। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খামারিরা বলেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণে প্রান্তিক খামারিদের জরিমানা করা হচ্ছে। অথচ আগের দিন বাজারে ডিমের ডজন ১২০ টাকা হলে পরের দিনই কীভাবে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা হয়? প্রশ্ন প্রান্তিক খামারিদের।
পরিষদের ঢাকা বিভাগের সভাপতি কামালউদ্দিন নান্নুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা খামারি আব্দুর রহিম গাজী, শহিদুল হক, এমরান হোসেন, মাহবুব আলম, ফয়েজ আহমেদসহ আরও অনেক।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরিষদের সাধারন সম্পাদক খন্দকার মো. মোহসিন।
ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, প্রান্তিক খামারিরা অসহায়। বর্তমানে পোলট্রি খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। একটি ডিমের উৎপাদন খরচ পড়ছে সাড়ে ৯ টাকার বেশি। কিন্তু একজন প্রান্তিক খামারি কত টাকায় তার ডিম বিক্রি করছেন। এ খবর কয় জন রাখেন?
বরিশাল থেকে আসা প্রবীণ খামারি আব্দুর রহিম গাজী বলেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণে প্রান্তিক খামারিদের জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তো দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত না। বর্তমানে অবস্থা এমন হয়েছে যে, আমরা পরিবারের কাছে কোনো সম্মান পাচ্ছি না।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৩আগস্ট ২০২২