ডিমের বাজার আবারো উর্ধ্বমুখী। খামার থেকে বাজারে আসতেই দাম প্রায় ডাবল হয়ে যায়। এবার সপ্তাহ ব্যবধানে ডজনে বেড়েছে ২০ টাকা। ডিমের সংকট বলে অযুহাত দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা। মুরগীর খাদ্যের দাম বেড়েছে বলে দাবী করছেন খামারিরা। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে পোল্ট্রি ফিডের দাম খতিয়ে দেখতে বলেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জানা যায়, গত ৫ দিন আগে খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন পাইকারি বাজারেই এই দাম হয়ে গেছে। বর্তমানে খুচরা ১৩৫ টাকা ডজন কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এতে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিক্রেতাদের রয়েছে নানা অজুহাত।
মাস খানেক আগে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়া ৫০ টাকা হালি ডিমের দাম বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে লাগামে আনলেও এখন আবার কয়েকদিন ধরে ডিমের বাজার লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
এক ডিম ব্যবসায়ী বলেন, এখন আর আগের মতো ডিম সরবরাহ নেই। গত ৫-৬ দিন যাবত ডিমের দাম বাড়ছে। খাদ্যের দামবেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি তাদের খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কমে গেছে। আর বাজারে দাম বেড়ে গেছে।
আরেক জন ডিম ব্যবসায়ী বলেন, এসপ্তাহে প্রতি ডজন সাদা ডিম ১৩০ টাকা ও লাল ডিম ১৩৫ টাকায় বিক্রি করছি। যা গত সপ্তাহে ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি করতাম।
খামারিরা জানায়, দফায় দফায় পোল্ট্রি ফিডের দাম বৃদ্ধি ও খামার কমে যাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী যোগান দেওয়া যাচ্ছে না। খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। আগে গ্রামে ৬০-৭০ টি খামার থাকলেও এখন রয়েছে মাত্র ৪টি খামার। তাই উৎপাদন কম হওয়ায় কারণে ডিমের দাম বেড়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, বাজার মনিটরিং করে একদফায় ডিমের দাম কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পোল্ট্রি উপকরণের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেই খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব শিঘ্রই বাজার আবার আগের মতো হয়ে যাবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২