বর্তমানে অনেকেই মুরগির খামারের দিকে ঝুঁকছেন। আর এতে লাভবানও হচ্ছেন ব্যাপক। একদিকে যেমন এটি আমাদের মাংসের চাহিদা পূরণ করছে অন্যদিকে কমাচ্ছে বেকারত্ব। তবে এই খাতের লোকগুলো যদি মুরগির নিয়ন্ত্রণে আরে সচেতন হতেন তবে আরো লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। বেশির খামারিরা মুরগির রোগের কারণে সামনে এগোতে পারেন না।
মুরগির খামারে রোগ নিয়ন্ত্রণের উপায়:
বয়স ও উপযোগিতা অনুযায়ী নিয়মিত মুরগির খামারে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় এমন খাদ্য দিতে হবে। মুরগির খামারে প্রদান করা খাদ্য ও পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। পাত্রের আশাপাশে খাদ্য পড়ে গেলে বা স্যাঁতস্যাঁতে হলে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে।
খামারে পালন করা মুরগির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে শীতের দিনে মুরগি খামারে বাতাস প্রবাহ সীমিত রাখতে হবে। দরকার হলে মুরগির খামারের চারদিকে পর্দা দিয়ে দিতে হবে। মুরগির খামারের লিটার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। খামারের লিটার স্যাঁতস্যাঁতে বা ব্যবহারের অনুপযোগী হলে তা দ্রুত পরিবর্তন করে দিতে হবে।
খামারের মুরগির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে কিছু দিন পর পর। মুরগির খামারে প্রয়োজন অনুযায়ী রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকার ব্যবহার করতে হবে। খামারে পালন করা মুরগিগুলোকে যাতে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায় সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ১৮অক্টোবর ২০২২