বোরো, আউশ বা আমন সব মৌসুমের ধান রোপণের সাথে সমন্বিত খামার করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে নাইলোটিকা, সরপুঁটি, তেলাপিয়া বা কার্প জাতীয় মাছ ও চিংড়ি চাষ করা যায়। এতে একসঙ্গে ধান ও মাছ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে জমির উর্বরতাও বাড়ে। ধানক্ষেতে মাছ ও চিংড়ি চাষ হতে পারে দুই পদ্ধতিতে:
ক. ধানের ক্ষেতে মাছ ও চিংড়ি চাষ
আমন ও বোরো দুই মৌসুমেই ধানের সাথে গলদা চিংড়ি এবং চিংড়ির সাথে অন্যান্য মাছও চাষ করা যায়। আমন ও বোরো এ দুই মৌসুমে দুইবার এ পদ্ধতিতে একই জমিতে ধান ও মাছ চাষ করা সম্ভব। মূলত হাওড় বা নিচু জমি, যেসব জমিতে দীর্ঘ দিন পানি জমে থাকে সেসব জমিতে বোরো মৌসুমে ধানের সাথে গলদা চিংড়ি চাষ করা সহজ। আর আমন মৌসুমে মাঝারি উঁচু জমিতে এভাবে মাছ চাষ করা ভালো। নিচু জমিতে করলে অতিবৃষ্টির সময় মাছ ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার যথেষ্ট সেচের সুবিধা থাকলে উঁচু জমিতেও ধানের সাথে মাছ চাষ করা সম্ভব।
এভাবে মাছ চাষ পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো:
জমি নির্বাচন
সারা বছর কিংবা ৪ থেকে ৬ মাস পানি জমে থাকে বা উঁচু করে আইল দিলে পানি ধরে রাখা যায় এমন জমিতে ধানের সাথে অথবা ধানের পরে গলদা চিংড়ি চাষ করা যায়। আবার যেসব জমির অংশ বিশেষ একটু বেশি নিচু যেখানে পানির গভীরতা বেশি সেখানে গলদা চিংড়ি চাষ করা সুবিধাজনক। জমির ভেতরে নালা কিংবা গর্ত করে গলদা চিংড়ি ও মাছ চাষের উপযোগী করে তোলা হয়। এর জন্য এঁটেল বা দো-আঁশ মাটির ধানক্ষেত সবচেয়ে ভালো। জমি অবশ্যই বন্যামুক্ত হতে হবে। ধানক্ষেতের কাছাকাছি পানি সরবরাহ ও নিঃষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে। উত্তরবঙ্গের অনেক ধানী জমি এভাবে ধান ও মাছ সমন্বিত চাষের জন্য খুবই উপযোগী।
জমির আইল তৈরি বা মেরামত
মাছ চাষের জন্য পানি ধরে রাখা জরুরি, একারণে জমির আইল শক্ত, মজবুত ও উঁচু করতে হবে। আগে থেকে আইল বাঁধা থাকলে তা মেরামত করে নিতে হবে। ধান রোপণের জন্য জমি প্রস্তুতের সময় ভালো করে মই দিয়ে সমতল করে নিতে হবে। সাধারণ বন্যায় যে পরিমাণ পানি হয় তার চেয়ে ৫০-৬০ সেন্টিমিটার উঁচু করে আইল তৈরি করা উচিত। মাছ ও গলদা চিংড়ি চাষের জন্য পানির গভীরতা চাষ এলাকায় কমপক্ষে ১ মিটার হলে ভালো হয়। অর্থাৎ জমির যে অংশে চিংড়ি ও মাছ দিনের বেলা আশ্রয় নেবে সেখানে পানির গভীরতা যদি ১ মিটার রাখা যায় তাহলে খুব ভালো হয়। এর জন্য জমিতে যথেষ্ট গভীরতা সম্পন্ন গর্ত বা লম্বালম্বি নালা করতে হবে।
গর্ত বা নালা বা খাল খনন
ধানক্ষেতে মাছ ও গলদা চিংড়ি চাষের জন্য আইল বা বাঁধের চারপাশে ভেতরের দিকে খাল অথবা সুবিধাজনক স্থানে এক বা একাধিক ডোবা বা গর্ত খুঁড়তে করতে হবে। জমির ঢালু দিকে, অর্থাৎ জমির যেদিকটা অপেক্ষাকৃত নিচু সেদিকে গর্ত বা ডোবা খনন করা উত্তম। আবার জমির আইলের কাছাকাছি চারপাশে গভীর নালা ও মাঝে মাঝে ডোরা খনন করতে পারেন। মোট জমির শতকরা ১৫ ভাগ এলাকায় ডোবা ও নালা করতে হয়। ডোবা বা নালার গভীরতা ৫০-৬০ সেন্টিমিটার হলে ভালো হয়। ডোবা করলে, প্রতিটি ডোবার সাথে নালার সংযোগ থাকতে হবে।
আইল থেকে ১২০ সেন্টিমিটার দূরে নালা খনন করতে হবে। নালার ভেতরের দিকে দুই পাশ ঢালু করে কাটতে হবে। মাছ বেশিরভাগ সময় এসব নিচু এলাকায় থাকবে এবং রাতে খাদ্য গ্রহণকালে কম পানি এলাকায় চলে যাবে। এসব নিচু এলাকায় বা খালে পর্যাপ্ত পরিমাণে আশ্রয় স্থান তৈরি করে দিতে হবে। বর্ষার সময় ক্ষেত থেকে অতিরিক্ত পানি বের করার জন্য আইলের এক বা একাধিক স্থানে নির্গমন নালা রাখতে হবে। জমির তলা থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার উঁচুতে এ নালা করলে ক্ষেতে প্রয়োজন পরিমাণ পানি থাকবে। নির্গমন নালায় ৫ ইঞ্চি প্লাস্টিকের পাইপ বসিয়ে পাইপের মুখে তারের জাল দিতে হবে যাতে মাছ ও চিংড়ি বের না হতে পারে।
গলদা চিংড়ির জন্য জমি তৈরি
ধানক্ষেতের উঁচু এলাকা ধানের জন্য এবং নিচু এলাকা গলদার জন্য উপযুক্তভাবে তৈরি করতে হবে। ধান তোলার পরে গলদা চাষ করলে একইভাবে জমি তৈরি করতে হয়। প্রথমে জমির পানি বের করে দিয়ে শুকাতে হয়। প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে হালকা সেচ দেওয়া যেতে পারে। প্রতি শতকে ৫ কেজি হারে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। ধাপে ধাপে পানি সরবরাহ করতে হবে। প্লাঙ্কটন উৎপাদনের জন্য নিয়মিত সার প্রয়োগ করতে হবে।
ধানের জন্য জমি তৈরি
জমিতে প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে ৩-৪টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি থকথকে কাদাময় করতে হবে। জমিতে ভালো করে মই দিয়ে সমতল করতে হবে। ময়লা আবর্জনা আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করার পর চিংড়ি বা অন্যান্য মাছ চাষের জন্য জমিতে প্রয়োজনীয় নালা বা গর্ত খনন করতে পারেন। তাতে জমি চাষ ও মই দিতে সুবিধা হবে।
সার প্রয়োগ
সারের পরিমাণ ধানের জাতের ওপর নির্ভরশীল। উফশী জাতে যে পরিমাণ সার দিতে হয় গলদা চিংড়ি চাষের জন্য এর চেয়ে ১৫% বেশি সার দিলে ভালো হয়।
ইউরিয়া ছাড়া অন্য সব সার সম্পূর্ণ জমি তৈরির শেষ চাষের সময় মাটিতে মিশিয়ে দিতে হয়। ইউরিয়া সমান তিনভাগ করে ধান রোপণের ১৫, ৩০ ও ৫৫ দিন পর ছিটিয়ে দিতে হবে। উপরিপ্রয়োগের সময় চিংড়িগুলো গর্ত ও নালায় নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ধানের জাত নির্বাচন
বোরো মৌসুমের জন্য: বিআর-১, বিআর-২, বিআর-৩, বিআর-৭, বিআর-৮, বিআর-৯, বিআর-১২, বিআর-১৪, বিআর-১৮, ব্রিধান-৩৫, ব্রিধান-৪৭ ও ব্রিধান-৫৫। আমন মৌসুমের জন্য: বিআর-৩, বিআর-৪, বিআর-১০, বিআর-১১, বিআর-২২, বিআর-২৩, ব্রিধান৪০, ব্রিধান৪১, ব্রিধান৪৪ ও ব্রিধান৫৬।
চারা রোপণ
কমপক্ষে এক মাস বয়সের চারা লাগানো দরকার। ধানের লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব প্রায় ২৫ সেন্টিমিটার এবং লাইনে গোছার দূরত্ব প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এরূপ ২/৩টি করে চারামুক্ত গোছাগুলো রোপণ করা যেতে পারে; তবে আরও ভালো হয় জোড়ায় জোড়ায় সারিগুলো স্থাপন করলে। অনেকটা কান্দি করে ফসল বোনার মতো।
জোড়ার সারি দুটির দূরত্ব ১৫ সেন্টিমিটার, আর এক জোড়া থেকে অপর জোড়ার বা কান্দির দূরত্ব হবে ৩৫ সেন্টিমিটার। এতে দুই কান্দির মাঝখানে বেশ খানিকটা ফাঁকা জায়গা থাকবে। ফলে মাছ ও চিংড়ির চলাফেরা সুবিধা হবে এবং পানিতে প্রচুর সূর্যালোক পড়বে। এভাবে মাছ ও চিংড়ির খাদ্য (প্ল্যাঙ্কটন) দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে তাদের দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুততর হবে।
পানি সরবরাহ
নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় থেকে পানি সরবরাহ করলে ভালো হয়। প্রথম অবস্থায় ৫-৬ সেন্টিমিটার পানি সরবরাহ করতে হয়। পরে ধান বৃদ্ধির অবস্থা অনুসারে পানি সরবরাহ করতে হয়। চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১০-১৫ সেন্টিমিটার পানি সরবরাহ করে এরপর মাছ ও চিংড়ির পোনা ছাড়তে হবে। পানি ঘোলা থাকা অবস্থায় বা সার প্রয়োগের পরপরই মাছের পোনা ছাড়া যাবে না।
পোনা মজুদ ও ছাড়া
মাছ ও চিংড়ির পোনা ধানক্ষেতে ছাড়ার জন্য যেসব বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে- পোনা ছাড়া ও মজুদের হার : ধানক্ষেতে শুধু চিংড়ির চাষ করতে হেক্টরপ্রতি ১০-১৫ হাজার পোনা ছাড়া যেতে পারে। প্রতি শতকে ৫০-৬০টি পোনা ছাড়তে হয়। পোনা কমপক্ষে ৫ সেন্টিমিটার লম্বা হওয়া উচিত। মাছ চাষের ক্ষেত্রে প্রতি শতকে রাজপুঁটি, নাইলোটিকা ও মিররকাপ ১০-১৫টি পোনা ছাড়তে হয়।
পোনা ছাড়ার নিয়ম
ক্ষেতে ধান রোপণের ২০-২৫ দিন পর চিংড়ির পোনা ছাড়া হয়। জমিতে ধানের চারা লেগে গিয়ে বেশ কিছুটা বেড়েছে এমন পর্যায়ই পোনা ছাড়ার উপযুক্ত সময়। কারণ খালি বা খোলা জমিতে পোনা না ছাড়াই ভালো। জমিতে পোনা ছাড়ার সবচেয়ে ভালো সময় সকাল ও বিকাল। যে পাত্রে পোনা আনা হয় তা ক্ষেতের পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখার পর যখন ক্ষেতের ও পাত্রের পানির তাপমাত্রা সমান হয় তখন পাত্রটি কাত করে আস্তে আস্তে পোনা ছাড়তে হবে। তাহলে পোনাগুলো তাপের কোনো আকস্মিক পরিবর্তনের শিকার হবে না।
পরিচর্যা
ধানক্ষেতে মাছ ও চিংড়ি চাষে কোনো বাড়তি খাবার না দিলেও চলে। মাছ ও চিংড়ি ধানক্ষেতের শ্যাওলা, পোকামাকড়, কীড়া ও পচনশীল দ্রব্যাদি খেয়ে থাকে। তবে কিছু খাবার প্রয়োগ করলে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এর জন্য শুরুতে চালের কুঁড়া ও গোবর ১ ও ৩ অনুপাতে মিশিয়ে বল আকারে হেক্টরপ্রতি ১০ কেজি পরিমাণে প্রতি ৭ দিন পরপর গর্তে দিতে হবে।
মাছ ও চিংড়ি ছাড়ার মাসখানেক পর থেকে, মোট মাছ ও চিংড়ির ওজন অনুমান করে ওজনের ৩-৫% হারে খৈল ও ভুসি বা কুঁড়া ১ ও ১ অনুপাতে মিশিয়ে একদিন পরপর গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। খৈল একরাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে গমের ভুসি বা চালের কুঁড়ার সাথে মিশিয়ে বল আকারে বিকালে কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে।
ধানের পরিচর্যা
ধানক্ষেতের বিভিন্ন পরিচর্যা, যেমন- আগাছা দমন, ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ, পর্যায়ক্রমে জমি শুকানো ও ভিজানো কাজগুলো প্রচলিত পদ্ধতিতে করা যায়। সারের উপরিপ্রয়োগের সময় যেন পরিখা বা গর্তে পানি থাকে, কিন্তু জমিতে বেশি পানি না থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
ধানের পোকা ও রোগ দমনের জন্যে জৈবিক জৈবিক দমন পদ্ধতি যেমন: পার্চিং, সেক্সফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার, বালাইসহনশীল জাতের চাষ, আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও যান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। পোকা দ্বারা আক্রান্ত হলে হাতজাল, আলোর ফাঁদ, সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ, কঞ্চি পুঁতে পাখি বসতে দেওয়া, ডিমের গাদা নষ্ট করা যান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে যায়। তাছাড়া মাছও ক্ষেতের অনেক পোকামাকড় খেয়ে ফেলবে।
মাছ ও চিংড়ি ধরা
ধান পাকা শুরু হলে ক্ষেতের পানি ধীরে ধীরে কমাতে হবে। এতে মাছ ও চিংড়িগুলো পরিখা বা গর্তে গিয়ে আশ্রয় নেবে। তখন প্রথমে ধান কেটে পরে চিংড়ি ধরতে হবে। কোনো কারণে ধান পাকার আগেই পানি শুকাতে শুরু করলে, ধান কাটার আগেও মাছ ও চিংড়ি ধরা যায়। আবার সুযোগ থাকলে এবং মাছ ও চিংড়ি বিক্রির আকারে না পৌঁছলে অর্থাৎ প্রতিটি যথাক্রমে ১০০ ও ৩৫ গ্রাম ওজনের না হলে ধান কাটার পরও মাছ ও চিংড়ি ক্ষেতে রেখে বড় করে নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আবার পানি দিতে হবে।
মাছ ও চিংড়ির ফলন
বোরো ধান ক্ষেতে মাছ ও চিংড়ি চাষ করলে, বাড়তি খাবার ছাড়াই এর উৎপাদন হেক্টরপ্রতি প্রায় ২৮০ কেজি চিংড়ি হয়। খাবার দিলে উৎপাদন প্রায় ৪০০ কেজি পর্যন্ত হয়। আমন ধান ক্ষেতে বাড়তি খাবার ছাড়া চিংড়ি হেক্টরপ্রতি ১০০-১৫০ কেজি হয়। খাবার দিলে উৎপাদন ২০০-৩০০ কেজি হতে পারে। মাছ হেক্টরপ্রতি ২৫০-৩০০ কেজি হয়।
খ. ধানের পর মাছ ও গলদা চিংড়ি চাষ
জমি থেকে বোরো আমন ধান কাটার পর জমিতে পানি থাকলে অথবা পানি সরবরাহ করে মাছ ও চিংড়ি চাষ করা যায়। যেসব জমি ধান কাটার পর ১-২ মাস পতিত থাকার সম্ভাবনা থাকে সেসব জমিতে মাছ ও চিংড়ি চাষ করা ভালো। ধানের পর মাছ ও চিংড়ি চাষের পদ্ধতি অনেকটা ধানের সাথে মাছ ও চিংড়ি চাষের মতো। তবে ব্যতিক্রমও আছে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষের কর্মসূচিকে তিনটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়:
১. গর্ত ও নালা তৈরি
মাছ ও চিংড়ি উৎপাদনকালে এসব জমিতে প্রচুর পানি থাকে, আবার মাছ ও চিংড়ির সাথে ধান থাকে না সেজন্য এ জমিতে পরিখা বা গর্ত খননের প্রয়োজন নেই। তবে মাছ ও চিংড়ি ধরার সুবিধার জন্য জমির নিচু স্থানে গর্ত খুঁড়ে রাখলে ভালো হয়।
২. সার প্রয়োগ : ধানের জন্য অনুমোদিত সার ধান চাষেই ব্যবহার করতে হবে। মাছ ও চিংড়ি চাষের জন্য অতিরিক্ত ১৫% হারে সার চিংড়ি চাষে প্রয়োগ করতে হবে।
সাবধানতা
ধানক্ষেতের পানি যেন শুকিয়ে না যায়, আবার এতো কমে যেন না যায় যাতে সূর্যের তাপে পানি বেশ গরম হয়ে ওঠে। উভয় অবস্থায়ই চিংড়ি মারা যেতে পারে।
অতি বৃষ্টি অথবা অন্য কোনো কারণে যেন পানি জমে আইল উপচে না যায়। পানি উপচে পড়লে পানির সাথে চিংড়ি বের হয়ে যাবে। এ কারণে আইল উঁচু করে বাঁধতে হবে। বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
পানি নির্গমন পথে যেন তারের জাল বা বাঁশের বানা দৃঢ়ভাবে আটকে থাকে। অন্যথায় মাছ ও চিংড়ি পানির সাথে চলে যেতে পারে। ক্ষেতের পানি কমে গেলে সাপ, বড় ব্যাঙ, ইঁদুর ও শিয়াল ইত্যাদি প্রাণী মাছ ও চিংড়ি খেয়ে ফেলতে পারে। আবার হাঁস, মুরগী, বক ও মাছরাঙার হাত থেকেও মাছ রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। বোরো ধানের সাথে চাষ করতে পারেন মাছ শিরোনামে সংবাদের তথ্য কর্ষণ থেকে নেওয়া হয়েছ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০১ নভেম্বর, ২০২২