বাড়ন্ত ও ডিম পাড়া হাঁসের যত্ন
বাচ্চার বয়স ১ মাস হয়ে গেলে ঘরে তাপ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। পানির পাত্রে পানির গভীরতা বাড়িয়ে ১২.৫-১৫.০ সেন্টিমিটার করতে হবে যাতে হাঁস মাথা ডোবাতে পারে। তাছাড়া খাবার ও পানির পাত্র দিতে হবে এবং থাকার জায়গার যাতে অভাব না ঘটে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ সময় কোনো কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন হয় না, দিনের আলোই যথেষ্ট।
অপরদিকে, খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস উপযুক্ত যত্ন ও পরিচর্যা পেলে সাড়ে ৪ মাস বয়স থেকেই ডিম দিতে শুরু করে। হাঁস প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ছাড়াও চরবার জন্য কিছুটা জায়গা থাকা ভালো। ঘর সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে প্রয়োজনীয় খাবার পানি ও পানির ঘাটতি যেন না হয়। হাঁসের ঘরে দিনের আলো ছাড়াও আরো ২-৪ ঘণ্টা কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন । কেননা ডিম পাড়ার সঙ্গে আলোর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন- কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক
হাঁসের রোগ ও প্রতিষেধক ব্যবস্থা
খাকি ক্যাম্পবেল জাতের হাঁসের রোগ-ব্যাধি খুব একটা হয় না। রোগ-ব্যাধি নির্ভর করে খামারকারীর পরিচর্যার ওপর। যদি খামারী স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হাঁস পালন করে তাহলে রোগ-ব্যাধির পরিমাণ একেবারেই থাকবে না। তবে খামারকারীকে হাঁসের মারাত্নক দুটি রোগ ডাক-প্লেগ ও ডাক-কলেরার অবশ্যই টিকা দিতে হবে। দুটি টিকা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য খামারকারীকে যেতে হবে নিকটস্থ পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে।
৩ সপ্তাহ বয়সে বুকের মাংসে ১ সষ ডাক প্লেগ টিকা দিতে হয়। ১৫ দিন পর পুনরায় বুকের মাংসে ডাক প্লেগ টিকা দিতে হবে। ৭০ দিন বয়সে কলেরার টিকা ১/স । ১৩০ দিন বয়সে আবার কলেরার টিকা দিতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২
আরও পড়ুন- যে জাতের মুরগি বেশি দিন ধরে ডিম পাড়ে
মুরগির খামারিরা যেসব বিষয় না মানলে খরচ ও চিন্তা দুটোই বাড়ে