জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে লেটুস

163

জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে লেটুস। জেলার পাঁচবিবি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল দহদপুর গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে অত্যধিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সবজি লেটুস চাষ করে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন কৃষক পলাশ।

সরেজমিন দহদপুর গ্রাম ঘুরে লেটুসচাষি পলাশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ১৫ শতাংশ জমিতে লেটুস চাষ করছেন কৃষক পলাশ। লেটুস চাষে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই। অন্যান্য ফসলের মতোই চাষ পদ্ধতি। লেটুস ট্রপিকেল জাতের লেটুসের বীজ রোপণ করা হয় গত অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে। ৬৫ দিনে ফসল হিসেবে বর্তমানে এগুলো তোলার উপযুক্ত সময় চলছে।

কৃষক পলাশ জানান, অনেকেই জমি থেকে নিয়ে যাচ্ছেন আবার বাজারেও গিয়ে বিক্রি করে থাকেন। ৮ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৪৫ হাজার টাকার বিক্রি করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

জেলা শহরের সবজি বাজারের নিরাপদ সবজি কর্নারেও এ লেটুস পাওয়া যাচ্ছে। চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলোতে ব্যাপক চাহিদা থাকায় লেটুস বিক্রিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না এবং প্রতিটি লেটুস বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা বলে জানান কৃষক পলাশ। অত্যধিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ লেটুস পাতায় রয়েছে বহুবিধ উপকারিতা। এ জন্য পুষ্টিবিদরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লেটুস পাতা রাখার পরামর্শ প্রদান করেছেন।

জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন শাহিন বলেন, লেটুস চাষে সার, বীজ প্রদানসহ কারিগরি সহায়তা করা হচ্ছে।

জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. নূরুল আমিন বলেন, পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাকস ফাউন্ডেশন অত্যধিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সবজি লেটুস চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করাসহ আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. লুৎফর রহমান বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার দহদপুর গ্রামের কৃষক পলাশ এবার ১৫ শতাংশ জমিতে অত্যধিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সবজি লেটুস বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে। লেটুস চাষে সফলতায় আশপাশের কৃষকরাও লেটুস চাষে এগিয়ে আসছেন বলে জানান তিনি।