পালংশাক প্রায় সবার কাছে পরিচিত। খেতেও পছন্দ করেন অনেকে। এ শাকের গুণাগুণ সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানেন না। জেনে রাখুন, এতে রয়েছে ক্যালরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আঁশ প্রভৃতি। পাশাপাশি রয়েছে নানা খনিজ লবণ: যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন ‘কে’, ‘এ’, ‘বি’ প্রভৃতি। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত পালংশাক রাখতে পারেন।
হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক রাখে: পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। উপস্থিত আয়রনকে শরীর সহজে শোষণ করে নেয়। এজন্য হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পায়। তাই আপনার শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখতে পালংশাক খান।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: পালংশাকে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউন সিস্টেম বাড়ানোর পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন ‘সি’ ক্ষয়রোধ করে। এ শাক পাচক সিস্টেম শক্তিশালী করে। ক্ষুধা বাড়ায়।
হৃদরোগে উপকারী: হার্টের জন্যও উপকারী। হৃদয়কে সুস্থ রাখে। পালংশাকে লুটেইন নামক পদার্থ রয়েছে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা দূর করে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।
আর্থ্রাইটিসের জন্য ভালো: শরীরের জয়েন্টের রোগ, যেমন আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা সমাধানে পালংশাক উপকারী। এছাড়া বাত ও জয়েন্টের ব্যথার ঝুঁকি কমায়। তাই নিয়মিত পালংশাক খাওয়া উচিত।
চোখের যত্নে উপকারী: যে কোনো সবুজ সবজি চোখের জন্য উপকারী। পালংশাকও এর ব্যতিক্রম নয়। নিয়মিত পালংশাক খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। চোখে ঝাপসা বা কম দেখেন এমন ব্যক্তিদের জন্য শাকটি বিশেষ উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: আধা গ্লাস কাঁচা পালংশাকের রস নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়। অন্ত্রের নানা রোগে উপশমের জন্য এ শাক উককারী।
পেশি শক্তিশালী করে: ভিটামিন ‘কে’ হাড় গঠনের অন্যতম উপাদান। পালংশাক ভিটামিন ‘কে’র একটি ভালো উৎস। পেশি শক্তিশালী করার জন্য এ শাক খেতে পারেন।
দেহ শক্তিশালী করে: পালংশাকে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কাজ করে। ইমিউন সিস্টেম বাড়ানোর পাশাপাশি এ উপাদান কার্ডিওভাসকুলার রোগের জন্যও সহায়ক।
ত্বকের সমস্যা দূর করে: পালংশাক রুক্ষ ত্বকের জন্য উপকারী। এ শাক পেস্ট করে মুখে লাগালে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়।
চুলের জন্য উপকারী: চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে নিয়মিত পালংশাক খেতে পারেন। পালংশাক শরীরে আয়রনের অভাব দূর করে চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে।