কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানা স্থাপনে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক। বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির চাহিদা ও বাজারের কথা মাথায় রেখে এবং কৃষকদের জন্য যন্ত্রাংশ সহজলভ্য করতে এ দেশে কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানা স্থাপন করতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত ইন্দো-বাংলাদেশ অ্যাগ্রো মেকানাইজেশন সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অণুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি খাতের আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকীকরণে কাজ করছে এবং এ জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কৃষির যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যশস্যের দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেবল খাদ্যশস্যের উৎপাদনের ওপর নির্ভর না করে বরং সাশ্রয়ী মূল্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ নৌপথের ব্যবহার, ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকে খুবই আশাব্যঞ্জক। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের মতো মেগা দুই প্রজেক্ট আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির দৃশ্যমান উদাহরণ।’
মো. জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও তুরস্কের মতো দেশকে পেছনে ফেলে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারের স্থান দখল করবে বাংলাদেশ। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যৌথ সহযোগিতা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করতে পারে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলে তা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে। আগামী মার্চে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানান, বাংলাদেশে খাদ্য ও শিল্পের উন্নয়নে কৃষি খাতের ব্যাপক অবদান আছে। এই সামিটের মাধ্যমে দুই দেশের কৃষিতে নতুন প্রযুক্তি আসবে।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী অংশীদার বাংলাদেশ। বিপুল জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।’
এফবিসিসিআই, কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই), ট্রাক্টর অ্যান্ড মেকানাইজেশন অ্যাসোসিয়েশন (টিএমএ) এবং ভারতীয় হাইকমিশনের অংশীদারত্বে আয়োজিত এক্সপো চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত
