ফেনীতে সরিষা ক্ষেতে চলছে মৌ চাষিদের মধু আহরণ। মধুর মৌ-মৌ গন্ধে সুবাসিত হয়ে উঠেছে কালিদহ এলাকার বিস্তীর্ণ প্রান্তর। সমন্বিত খামারকে পাহালিয়া এগ্রো ফার্মের তত্ত্বাবধানে উদ্যোক্তা মেজবাহ উদ্দিন শামীম মৌ বক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছে।
কে পাহালিয়া এগ্রো ফার্মের পরিচালক মো. ফজলুল করিম বলেন, ভেজালমুক্ত সরিষা তেল এবং মধু বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে আমাদের এ উদ্যোগ। চারদিকে এখন রাসায়নিকের ছড়াছড়ি। এ অবস্থায় বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কথা মাথা রেখে এসব কাজ করছি। মধু আহরণ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন মৌ চাষিরা।
চাষি মেজবাহ উদ্দিন শামীম বলেন, কৃষি বিভাগের সহায়তায় গত ৪ বছর ধরে সরিষা ক্ষেত থেকে মধু আহরণ করছি। এবারও ১০টি মৌ বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ কার্যক্রম করছি। প্রতি বাক্স থেকে একমাস বা দেড়মাসে ৫ থেকে ৬ লিটার মধু পাওয়া যাচ্ছে। এতে উৎপাদন সংশ্লিষ্ট খরচ বাদ দিয়ে বাক্স প্রতি প্রায় ১১ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার এ কার্যক্রম দেখে অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। অনেকে উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরামর্শ নিতে আসছেন।
মধু আহরণ প্রক্রিয়া দেখতে আসা ফুলগাজী উপজেলার সরিষা চাষি মনোজ কান্তি বলেন, আমি দীর্ঘদিন সরিষা আবাদ করছি। এবার সরিষা ক্ষেত থেকে মৌ বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহের ইচ্ছা আছে। সেজন্য উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ এখানে মধু সংগ্রহের প্রক্রিয়া দেখতে এসেছি।
সদর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, এটি কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টার ফসল। সরিষা ক্ষেতের পাশে এ উৎপাদনে সরিষার পরাগায়ণও ভালো হয়। এতে ফলনও বৃদ্ধি পায়। এখানে বছরব্যাপী মধু সংশ্লিষ্ট বীজ রোপণ করা হবে। সেখান থেকে মৌ বাক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহের জন্য কৃষি বিভাগ নানা ধরনের সহযোগিতা করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বছর জেলায় সরিষার আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ৮০৬ হেক্টর। যা চলতি বছরে বেড়ে চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৪৯৪ হেক্টর। চলতি বছরের চাষাবাদের হিসেবে ৪ হাজার ৬৭০ টন সরিষা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।