মেহেরপুরে সাড়া ফেলেছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের জাত “বিপ্লব”

111

ইষ্ট ওয়েষ্ট সীড বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড ও এসিআই সীডের যৌথ উদ্যোগে প্রায় একশত এর অধিক কৃষক, বীজ ডিলার এবং রিটেইলার এর উপস্থিতিতে কৃষক জনাব আক্কাস আলী ও রাজ্জাক মিয়ার মাঠে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের জাত “বিপ্লব” এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার বুড়িপুতা ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে এটি অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ জনাব শংকর কুমার মজুমদার, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, মেহেরপুর জেলা।

দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৫ লক্ষ মেটিক টন। সেখানে আমাদের দেশে পেঁয়াজের মোট উৎপাদন ২৫-২৬ লক্ষ মেট্রিক টন। ফলে প্রতি বছর প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজ উৎপাদনে স্ব-নির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইষ্ট ওয়েষ্ট সীড ও এসিআই সীড গত ২-৩ বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযোজন পরীক্ষার মাধ্যমে “বিপ্লব” নামে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় গ্রীষ্মকালীন একটি পেঁয়াজের জাত নির্বাচন করে, যার হেক্টর প্রতি ফলন ৩০-৩২ মেট্রিক টন। বিপ্লব জাত এ কন্দের গড় ওজন- ১০০-১৫০ গ্রাম, যাতে এক কন্দ বিশিষ্ট পেঁয়াজের পরিমান – ৯০% এর বেশি, ফুল আসার পরিমান – ৩ শতাংশের কম, পেঁয়াজ ফাটে না এবং ২-৩ মাস সংরক্ষণ করা যায়। “বিপ্লব” উচ্চ তাপমাত্রা ও বৃষ্টি সহনশীল জাত, যা জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চাষ করা যায়। জাতটি চারা লাগানোর ১০০-১১০ দিনের মধ্যে উত্তোলন করা যায়। এটি রোগবালাই সহনশীল, উচ্চ ফলনশীল একটি জাত, যা চাষ করলে একদিকে কৃষক যেমন লাভবান হবে, তেমনি দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটানোও সম্ভব হবে।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ জনাব সঞ্জয় দেবনাথ, উপ-পরিচালক, ভিত্তিবীজ উৎপাদন খামার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, মেহেরপুর; কৃষিবিদ জনাব এনামুল হক, উপ-পরিচালক, চুক্তিবদ্ধ খামার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, মেহেরপুর; কৃষিবিদ জনাব জিয়াউর রহমান, উপ-পরিচালক, ডাল তৈল বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, মেহেরপুর; জনাব ইউসুফ আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কেটিং ম্যানেজার, এসিআই সীড।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কৃষিবিদ জনাব মোহাম্মদ খালেদ মোস্তফা, প্রোডাক্ট ম্যানেজার, ইষ্ট ওয়েষ্ট সীড বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কৃষিবিদ জনাব মোস্তফা কামাল, কান্ট্রি ম্যানেজার, ইষ্ট ওয়েষ্ট সীড বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড।