মেঘনা নদীতে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাস মাছ

166

মেঘনা নদীর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাস মাছ। জাল ফেললেই উঠে আসছে ডজন ডজন মাছ। গত কয়েকদিন ধরেই নদীর বিভিন্ন অংশে এসব মাছ ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

এদিকে, নদীতে ইলিশ না পেয়ে ক্ষতি পাঙ্গাসে পুষিয়ে নিতে পেরে খুশি জেলেরা।

মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, জেলেদের আহরণকৃত এসব মাছ নির্ধারিত দৈর্ঘ্যের চেয়ে অনেক ছোট। যা ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ।

সরেজমিনে শুক্রবার (৯ জুন) খোঁজ নিয়ে যায়, মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের বিভিন্ন এলাকার জালে ধরা পড়ছে পাঙ্গাস। নদী পাড়ের বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে দেখা যাচ্ছে এই মাছ। আকারে বেশি বড় না হলেও প্রচুর পরিমাণ ধরা পড়ায় খুশি জেলে এবং বিক্রেতারা। আকৃতি ভেদে প্রতি কেজি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়।

গজারিয়ার ইসমানিচর এলাকার জেলে রহিম শেখ জানান, আজ (শুক্রবার) দুপুরে নৌকা নিয়ে বের হন তারা। নদীর ইসমানিচর এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টায় জাল গুটিয়ে দেখতে পান সেখানে অন্তত তিন শতাধিক পাঙ্গাস মাছ ধরা পড়েছে। আকারে তেমন বড় না হলেও পরিমাণে যথেষ্ট। সবাই মিলে এখন জাল থেকে মাছ ছাড়ানোর কাজ করছেন।

অপর জেলে কুতুব উদ্দিন জানান, নদীতে ইলিশ মাছ তেমন নেই, তবে গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে পাঙ্গাস মাছ ধরা পড়ছে তাদের জালে। এতে তারা খুশি। মাছ বিক্রি করে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন তারা।

এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞার সময় অন্যান্য মাছেরও নিরাপদ প্রজনন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নদ-নদীতে শুধু পাঙ্গাস নয় বিভিন্ন মাছের প্রাচুর্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মেঘনা নদীতে এমনিতেই পাঙ্গাস মাছ পাওয়া যায়, তবে কয়েকদিন ধরে আমরা খবর পাচ্ছি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি পাঙ্গাস মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে ধরা পড়া মাছের বেশিরভাগই ছোট আকৃতির। দেশের মৎস্য আইন অনুসারে ১২ ইঞ্চির নিচে (৩০ সেন্টিমিটার) পাঙ্গাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ.টি.এম. তৌফিক মাহমুদ বলেন, নদীতে বিপুল পরিমাণ পাঙ্গাসের পোনা রয়েছে। যে মাছগুলো ধরা পড়ছে তার অধিকাংশই ছোট যা ধরা নিষিদ্ধ। ছোট আকারের মাছ না ধরতে জেলেদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। যদি তারা তারপরও মাছ ধরা অব্যাহত রাখেন তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে যাবো।