জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে মাচা পদ্ধতিতে ‘গাছ আলু’ চাষ

156

জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে মাচা পদ্ধতিতে ‘গাছ আলু’ চাষ। সাধারণ আলুর চেয়ে অধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর এ আলু স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৃষকদের। চাহিদা থাকায় এবং ব্যাপকভাবে লাভজনক হওয়ায় অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এ আলু চাষে।

একসময় গ্রামাঞ্চলের বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতে দেখা মিলত গাছ আলুর। তবে কালের বিবর্তনে আজ আজ তেমন দেখা যায় না।

এ গাছ আলুর বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে উত্তরের শষ্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত জয়পুরহাট জেলায়। অধিক লাভের আশায় পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের মালিদহ গ্রামের কৃষক অজিত চন্দ্র মহন্ত অন্য ফসল বাদ দিয়ে ২০ শতক জমিতে গাছ আলুর চাষ করেছেন। মাচা পদ্ধতিতে চাষ করা এ আলু মাটির নিচে একেকটি তিন থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয়। মাটির নিচের আলু ছাড়াও গাছে ঝুলন্ত আলুও সবজি ও বীজ হিসেবে ব্যবহার হয়। গরমের শুরুতে এ ফসলের চাষ করা হয়, আর শীতের শুরুতে ফলন আসে।

সাধারণ আলুর মতো শর্করা ছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়ামসহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আঁশ, যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

কৃষক অজিত চন্দ্র মহন্ত বলেন, এ জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর এখান থেকে উৎপাদিত আলু দেড় থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রির আশা করছি। এক বিঘা জমিতে ২৫০-৩০০ মণ ফলন আসে। আমার দেখাদেখি অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন এ আলুর চাষে।

মালিদহ গ্রামের কৃষক নিমাই চন্দ্র বলেন, এমন আলুর চাষ আগে কোথাও দেখিনি। আমারও ইচ্ছা আছে গাছ আলু চাষ করা।

এ বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফর রহমান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় আমরা উচ্চমূল্যের ফসল সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছি। এটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। নিরাপদ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা যায়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কারিগরি সহযোগিতা, বিশেষ ক্ষেত্রে প্রদর্শনী এবং উপকরণ সহযোগিতা করে যাচ্ছি।