চুয়েটে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত

“চৌদ্দশত বছর পরেও ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি”- চুয়েট ভিসি

139

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন তথা পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ ৫ই অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ২০২৩ খ্রি. বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও কর্মের উপর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আবুল হাছান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম ও স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান এবং সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) জনাব মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সমগ্র মানবজাতির জন্য শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা হাফেজ ক্বারী নুরুল্লাহ। এর আগে গত ২৮শে অক্টোবর ২০২৩ খ্রি. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা অনুসরণে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের পরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বাদ আছর চুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মের চৌদ্দশত বছর পরেও ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। মুসলমানরা ৭২-৭৩ ফেরকায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভার্চুয়াল জগতে সবচেয়ে বেশি ইসলামের বিকৃতি ঘটছে। একেকজন হুজুর একেকভাবে ধর্মীয় ব্যাখ্যা প্রচার করছে। অথচ ইসলামের শিক্ষা সর্বজনীন। ইসলাম সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের কথা বলে। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। ইসলাম সর্বদাই মানুষের মর্যাদা, নারীর অধিকার, দেশপ্রেম ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবন সর্বক্ষেত্র পরিচালনার বিধানাবলি ইসলাম ধর্মে আলোচিত হয়েছে।”