টেকনাফের মেধাবী ও সুবিধাবঞ্চিত ২৬ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে “টেকনাফ সমিতি চট্টগ্রাম”। গতকাল ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত ২৬ শিক্ষার্থীকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩ এর টাকা ও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ (বাদল সৈয়দ)।
টেকনাফ সমিতির সভাপতি মুখতার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিক উল্লাহ। বক্তব্য রাখেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. একেএম রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও শিক্ষাবৃত্তি ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমির হোছাইন।
শিক্ষাবৃত্তি ব্যবস্থাপনা কমিটির সচিব আলী প্রয়াসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল মনোয়ার, সিনিয়র আইনজীবী রফিকুল আলম, রাজনীতিক ও সমাজকর্মী সাইফুদ্দিন খালেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ।
বৃত্তি প্রাপ্তদের মধ্য থেকে প্রতিক্রিয়া জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমতিয়াজ আহমদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আনোয়ার হোসেন ও তানজিয়া সুলতানা সাইকা। অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি ডকুমেন্টারী প্রদর্শিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বৃত্তি একজন শিক্ষার্থীর জীবন পাল্টে দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করতে পারে। টাকার অংক যা-ই হোক কেন শিক্ষাবৃত্তি ছাত্রছাত্রীদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করায় তিনি টেকনাফ সমিতি চট্টগ্রামকে সাধুবাদ জানান।
প্রধান আলোচক বাদল সৈয়দ বলেন, শিক্ষা জীবনের বাঁকে বাঁকে অনেক বাধা আসতে পারে, কেউ তার পাশে দাঁড়ালে সেই বাধা নিমিষেই দূর হয়ে যায়। তিনি বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বলেন, আগ্রহ ও একাগ্রতা থাকলে সাধারণ প্রতিষ্ঠান থেকেও উন্নতির শীর্ষে পৌঁছানো সম্ভব। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা স্বপ্ন দেখো, স্বপ্নের পেছনে লেগে থাকো, সাফল্য ধরা দিবেই।
অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাক ও সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।