মেহেরপুরে পেঁয়াজ চাষে আশার আলো দেখছে চাষি

187

পেঁয়াজের ঘাটতি কমাতে সারাদেশের মতো মেহেরপুর জেলায় ১৭০০ জন কৃষককে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য সরকারিভাবে বিনামূল্যে বীজসহ নানা উপকরণ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চাষিরা বীজতলা শেষে জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করেছে। বর্তমানে পেঁয়াজের গুটি নেয়া শুরু হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে চাষি পেঁয়াজ তুলবে। এ পেঁয়াজে আশার আলো দেখছে চাষি।

মেহেরপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের ঘাটতি কমাতে সরকারি প্রণোদনার আওতায় ১৭০০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন ১৭০০ জন চাষি। প্রতিজন পেঁয়াজ চাষিকে দেয়া হয়েছে বীজ, সার, বালাইনাশক, পলিথিন, নায়লনের সুতলি এবং চাষাবাদের খরচ বাবদ নগদ টাকা। এসব প্রণোদনা পেয়ে খুশি মনে পেঁয়াজ চাষ করেছেন চাষিরা।

বর্তমানে পেঁয়াজের গুটি নেয়া শুরু হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে চাষি পেঁয়াজ তুলবে। এ পেঁয়াজে আশার আলো দেখছে চাষি। তবে চাষিদের দাবি তারা যখন পেঁয়াজ তুলবে তখন যেন সরকার পেঁয়াজ আমদানি না করে। তাহলে চাষিরা লাভবান হতে পারবে না। ফলে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে চাষি।

সদর উপজেলার দিঘীরপাড়া গ্রামের চাষি কিতাব আলী জানান, বিঘাপ্রতি প্রণোদনা বাদে ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ হবে। যদি ফলন ভালো হয় তবে ১২০-১৪০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান বাজার দর ঠিক থাকে তবে দুই লক্ষাধিক টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবে চাষি।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, যদি গড়ে বিঘাপ্রতি ১২০ মণ ফলন হয় তবে পেঁয়াজের উৎপাদন ৮ হাজার মেঃটন ছাড়িয়ে যাবে। পেঁয়াজের ফলন যাতে ভালো হয় তার জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, প্রণোদনার আওতায় চাষিরা পেঁয়াজ চাষ করতে পেরে খুশি। চাষিদের প্রণোদনা দিয়ে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক চাষিদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যাতে সরকারের এই মহতি উদ্যোগ যাতে নষ্ট না হয়ে যায়। পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে সরকারের যে মহতি উদ্যোগ তা অনেকাংশে পূরণ হবে বলে আশাবাদী এ কৃষি কর্মকর্তা।