বরগুনার সোনা-বাইম মাছ রপ্তানি হচ্ছে

129

দেশের অন্যতম বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ লাখ টাকার সোনা-বাইম মাছ বিক্রি হচ্ছে। শীত মৌসুমে সাগরে উপকূলীয় জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণ ধরা পড়ছে সোনা-বাইম মাছ। পাথরঘাটার ঘাটে আসা প্রতিটি ট্রলারেই দেখা মিলছে এ সোনা-বাইমের। বাংলাদেশের বাজারে এ মাছের চাহিদা কম থাকলেও সেগুলো রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে। বিশেষ করে চীন ও মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হয় সোনা-বাইম মাছ।

বরগুনার পাথারঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, মাছ শিকার শেষে সাগর থেকে ঘাটে ফিরে আসা প্রতিটি ট্রলারে ২০ থেকে ২৫ মণ সোনা-বাইম মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। জাত ও আকারভেদে প্রতি মণ সোনা-বাইম বিক্রি হয় ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকায়। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার সোনা-বাইম মাছ বিক্রি হয় এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘাটে।

স্থানীয় মৎস্য আড়তদাররা জানান, বর্তমানে সাগরে সোনা-বাইম একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ মাছটি ধরা পড়ায় জেলেরা বেশ খুশি। শীত মৌসুমে জেলেরা গভীর সমুদ্রে বড় ফাঁসের জাল দিয়ে সোনা-বাইম মাছ শিকার করেন। এ মাছ দুই ধরনের হয়। সাদা-বাইম প্রতি মণ ২০ থেকে ২৫ হাজার ও সোনালি রঙের বাইন প্রতি মণ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সহকারী বিপণন কর্মকর্তা ও মৎস্য গবেষক বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সোনা-বাইম মাছের পেটের মধ্যে ‘বালিশ’ সদৃশ্য যে অঙ্গটি থাকে, তা খুবই দামি হওয়ায় বেশি দামে এ মাছগুলো বিক্রি হয়। চীন ও মালয়েশিয়ায় এ মাছের ‘বালিশগুলো’কে বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত করে দামি খাদ্য তৈরি করা হয়। শীতকালে প্রজননের জন্য মাছগুলো এ অঞ্চলে আসে, তাই এ সময়ে একটু বেশি পাওয়া যাচ্ছে।