চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “১৯৭৫ সালের পরে স্বাধীনতার নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস চেপে রেখেছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু করেন। ২০০৯ সাল থেকে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে সেটাকে তিনি একটা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে আসেন। ১৯৭১ সালের সেই ভয়াল দিনগুলোতে চুয়েট ক্যাম্পাসও মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রক্তস্নাত হয়েছিল। চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী শহীদ মোহাম্মদ শাহ এবং শহীদ তারেক হুদা-সহ এই অঞ্চলের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। আমাদের শিক্ষার্থী ও বর্তমান প্রজন্মকে দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সেই ত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মিশনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।” তিনি আজ ২৫শে মার্চ (সোমবার) ২০২৪ খ্রি. সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত “গণহত্যা ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতিচারণ এবং আলোচনা সভা”-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী অন্যান্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল- বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া, মোনাজাত ও তবারুক বিতরণ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১০:৩০ ঘটিকা থেকে ১০:৩১ ঘটিকা পর্যন্ত এক মিনিটের জন্য প্রতীকি ব্ল্যাকআউট ও পরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। উক্ত ব্ল্যাকআউটে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।