মাছের সাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। পরিকল্পিত খামার ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশগত কারনে মাছের পুকুরে বা খামারে সংক্রামক রোগ–বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব হয়। অধিক উৎপাদনের আশায় অনেক মৎস্য চাষী বেশী ঘনত্বে মাছ চাষ করে এবং প্রয়োজনের অধিক খাদ্য, সার বা রাসায়নিক প্রয়োগ করে । ফলে জলজ পরিবেশ দূষিত হয়। এবং মাছ বিভিন্ন ধরনের সংক্রামন রোগে আক্রান্ত হয়। রোগের ফলে মাছের ব্যাপক মৃত্য হয়। এবং প্রত্যাশিত উৎপাদন পাওয়া যায় না । সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় , সতর্কতা বা প্রতিরোধমূলক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করে মাছকে রোগমুক্ত করা সম্ভব।
১ . পুকুরের অআভ্যন্তরীণ জীবাণু ধ্বংস করা । যেমন : পুকুরের চুন প্রয়োগ এবং পরিবেশ বান্ধব জীবাণুনাশক ব্যবহার করা ইত্যিাদি ।
২. পুকুরে বহিরাগত জিবাণু প্রবেশ রোধ যেমন : পুকুরের পাড় বাধা, পুকুরের চারপাশে বেড়া দেওয়া , বহিরাগত প্রাণী প্রবেশ রোধ, জালসহ বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহাররের পূর্বে শুকানো এবং জীবানু মুক্ত করা।
৩.খামারের উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা । যেমন : পুকুর প্রস্ততি থেকে মাছ ধরা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে উন্নত ব্যবস্থাপন,সুস্থ ও সবল পোনা নির্বাচন, সঠিক ঘনত্ব পোনা মজুদ এবং সঠিক উপায়ে পরিমিতি সুসম খাবার প্রয়োগ করা ইত্যাদি।
৪. খামারে নিয়মিত পরিচর্যা ও পযবেক্ষেণ করা যেমন : নিয়মিত সাস্থ্য পরীক্ষা করা । চাষযোগ্য মাছ যেমন : রুই, কাতল, পাঙ্গাস, কৈ, শিং, ও তেরাপিয়া মাচের সচরাচর যে সকল রোগ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা।