রাজশাহীতে কোরবানিযোগ্য পশু সাড়ে ৪ লাখের বেশি

72

পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশু প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর খামারিরা। এ বছর রাজশাহীতে কোরবানিযোগ্য ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৯৬টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এই পশুগুলো মানুষের বাসাবাড়ি ছাড়াও খামারে লালনপালন করা হচ্ছে। যা কোরবানিতে বিক্রির আশায়। তবে পশুখাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ার প্রভাব পড়বে কোরবানির হাটে।

জানা গেছে, কোরবানিকে কেন্দ্র করে পশুর মালিক, ব্যবসায়ী ও কোরবানি দাতাদের মধ্যে হিসেব-নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। সাপ্তাহিক হাট, পাড়া-মহল্লায় গরু ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে। শুধু তাই নয়, একটু কম দামের আশায় আগে থেকে অনেকেই পশুর বায়না করে রাখছেন। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দাবি-পশু খাদ্যের দামের প্রভাব পড়বে গরুর হাটে।

রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে এ বছর কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত রয়েছে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৯৬টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৮৩ হাজার ৩৬৫টি, মহিষ রয়েছে ৩ হাজার ৭৬৯টি ও ছাগল রয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৩টি। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রতি বছরের মতো এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে।

খামারি সাইফুল্লাহ হক বলেন, এবারও কোরবানির পশুর দাম চড়া হবে। কারণ উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে পশু পালনকারীদের লাভের পরিমাণ কমার শঙ্কা রয়েছে। তারপরেও কেউ তো আর লোকসান দিয়ে পশু বিক্রি করবে না। কোরবানির হাট এখনও শুরু হয়নি। এখন পশু কম দামে পাওয়া গেলেও কোরবানির আগে তারা প্রত্যাশা অনুযায়ী দামের আশা করছেন।

পবার হরিয়ানের পশু খামারি সুমন ইসলামের খামারে ৪টি গরু ও দুইটি মহিষ রয়েছে। গরুগুলো তিনি সাড়ে তিন মাস ও মহিষ ৬ মাস ধরে লালন-পালন করছেন। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার আরও বেশি পশু লালন পালন হয়েছে। কোরবানির ঈদের অন্তত ১৫ দিন আগে থেকে বিক্রির চেষ্টা করব। যদি না হয় এক সপ্তাহ আগে হাটে তুলব। আশা করছি, এবার ঈদে ভালো দাম পাব।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান বলেন, সপ্তাহে রোববার ও বুধবার সিটি হাট বসে। কোরবানির হাট শুরু হতে দেরি আছে। তবে কোরবানির পশু কেমন হাটে উঠছে বলা সম্ভব নয়। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। ঈদের ১০ থেকে ১৫ আগে জমে উঠবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার আখতার হোসেন জানান, রাজশাহীতে বিগত বছরের তুলনায় এবারও পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। যেহেতু উৎপাদন খরচ বেশি, এবার দামও কিছুটা বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।