গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার সহজ কিছু উপায়

88

 

গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার উপায় আমাদের অনেকেরই জানা নেই। কবুতর পালন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি পেশা। অনেকেই শখের বসে আবার অনেকেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কবুতর পালন করে থাকেন। আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি জাতের কবুতর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হল গিরিবাজ জাতের কবুতর। গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার উপায় কেউ কেউ জানেন না। চলুন আজকে জেনে নেই গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার উপায় সম্পর্কে-

গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার উপায়ঃ
নিচে গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

চোখঃ

১। গিরিবাজ জাতের কবুতরের চোখ দেখতে অনেক উজ্জ্বল দেখাবে।

২। এই জাতের কবুতরের চোখ রোদের দিকে ধরলে ছোট-বড় হবে অর্থাৎ জুমিং করবে।

৩। এ জাতের কবুতরের চোখের মনি এক জায়গায় স্থির থাকে না, চোখ সহ চোখের মনি কাপাকাপি করতে থাকবে। কিছু সময় ধরে রাখলেই তা বোঝা যাবে।

৪। আর সাদা চোখের কবুতর সবচেয়ে ভালো হয়। অর্থাৎ যেসব কবুতরের চোখে কোন প্রকার দাগ থাকে না সেই জাতের কবুতর বেশি ভালো মানের হয়।

কবুতরের ডানাঃ

১। গিরিবাজ জাতের কবুরের ডানা সাধারণত গোলাকৃতির হয়ে থাকে। কোন কোন গিরিবাজ কবুতরের পাখা তলোয়ার কিংবা তীরের মতো দেখতে হয়।

২। সাধারণত যেসব গিরিবাজ কবুতরের ডানা অপেক্ষাকৃত বড় হয় এবং ডানা চিকন প্রকৃতির হয়ে থাকে সেই সব কবুতর বেশি পরিমান উড়তে পারে।

কবুতরের লেজঃ

গিরিবাজ জাতের কবুতর হাতে নিলে দেখা যাবে কিছু কবুতরের লেজ খুলে যাবে পুরো পুরি আবার কিছু কবুতরের লেজ বন্ধ থাকবে। যেসব কবুতরের লেজ পুরোপুরি খুলে যাবে সেসব কবুতর ঝড়ের মধ্যে পড়লেও আবার বাড়ি ফিরে আসে না। কবুতর ঝড়ের সাথে অন্য জায়গায় চলে যায়। আর যেসব কবুতরের লেজ বন্ধ থাকে সেসব কবুতর ঝড়ের মধ্যে আবার ফিরে আসতে পারে।

আবার কোন কোন গিরিবাজ কবুতরের লেজ দেখতে অনেকটা নৌকার মত বাকা দেখা যায়। সেসব কবুতর খাড়ায় বাজি খেয়ে নিচের দিকে পরে না। বরং তা উপরের দিকে উঠতে থাকে।

স্বাস্থ্যঃ

গিরিবাজ কবুতরের সাস্থ্যের উপর কবুতরের উড়ার ক্ষমতা অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে। তবে যেসব কবুতর বেশি পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করে থাকে সেসব কবুতর খুব বেশি উড়তে পারে না। আর কবুতর বেশি স্বাস্থ্যবান হলে সেই কবুতর ভালো লাইনের হলেও তেমন উড়তে পারে না। সেজন্য গিরিবাজ জাতের কবুতর যদি উড়ার জন্য পালন করা হয় তাহলে সেই কবুতরের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য পরিমিত খাদ্য প্রদান করতে হবে। কোনভাবেই অতিরিক্ত পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা যাবে না।