এই লেখাটা তাদের জন্য যারা হতে চান নতুন গরু খামারী, যাদের মূলধন লাখের নিচে যারা নিজেই খামারে কাজ করবেন এবং যার খামার করার গল্প শুনতে শুনতে এখন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কি করে করবেন । তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক-
গরু খামার কে আমরা দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি।
১। মোটাতাজা করা
২। দুধ উৎপাদন
সিদ্ধান্ত ফাইনাল দুধ উৎপাদন খামার করব পুঁজি আমার ৬ লাখ। গরুর ঘর কি ভাবে করব ৬ লাখ যদি পুজি হয়
তাহলে প্রথমে আপনি গরুর ঘর তৈরী করতে ১ লাখের বেশী খরচ করা যাবে না।
১ লাখ টাকা দিয়ে দিয়ে ঘর করতে হবে যে দিন ঘর তৈরী কাজ শুরু করলেন সে দিনেই ১ বিঘা জমিতে ঘাসের কাটিং লাগিয়ে দিন । আর আপনি আপনার এলাকার খামারগুলো ঘুরে দেখেন। প্রয়োজনে কোন একটি খামারে প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টা কাজ করেন তাহলে সবকিছু শিখতে পারবেন।
ঘর তৈরী এবং কাজ:
ঘর তৈরী এবং কাজ শিখতে চলে গেল এক থেকে দেড় মাস।
কেমন গরু কিনবেন:
আমি বা আমার মত কোন খামারী খুব ভালো মানের গরু আপনার কাছে বিক্রয় করব না সহজে এটা জেনেও কিনতে হবে মোটামুটি যেন ভাল হয় (কিনবেন খামার থেকে) তবে দু’একজন ভালো মানের গরুও পেতে পারেন। ১০-১৫ কেজি দুধের গরু কিনবেন ১ টা (যদি এটার উপর সংসার খরচ চলাতে হয় তাহলে কিনতে হবে দুইটা)। সাথে কিনতে পারেন সোনার হরিণ ১ থেকে দুইটা বকনা বাছুর।
যে গরুগুলো কিনবেন সেগুলো হতে হতে হবে ফ্রিজিয়ান বা জার্সি জাতের। এগুলো কিনার পর আপনার কাছে কিছু টাকার থেকে যাবে । এখন আপনি হয়ে গেলন এক জন খামারী, ৫ থেকে ৬ মাস পর আপনি আপনার হাতে থাকা টাকা দিয়ে আরও একটি গাভী কিনবেন। এভাবে আপনি গাভী কিনলে আপনার খামারে একটা সুন্দর দুধের সার্কেল হয়ে যাবে।
এখন আপনার খামারের বয়স ৮ মাস হয়ে তখন প্রথম যে গাভী কিনছিলেন সে গুলোর দুধ প্রায় শেষ তখন আরও একটি গাভী কিনতে হবে।এভাবে আপনি এক বছর পার করলেন। এত দিনে আপনি বুঝে গেছেন কখন কি করতে হবে ।
নোট
(ক) আপনি এমন ভাবে গাভী রাখবেন যাতে সারা বছর আপনার খামরে দুধ থাকে ।
(খ) খামারে লাখ লাখ টাকা লাভ না যে খামার করলাম আর ধনী হয়ে গেলাম এখানে পরিশ্রম অনেক লাভ খুব সীমিত
(গ) খামার করে সাথে সাথে মজা পাবেন না, মজা পাবেন ২৪ মাস পর ।
(ঘ) আপনাকে ঘাসের উপর নির্ভর করতে হবে দানাদারের উপর নয়।
(ঙ)পরিশ্রম করতে গাঁধার মত।
(চ) খামারের খরচ সীমিত রাখতে হবে ।
সকলের উপকারের জন্য বেশি করে শেয়ার করবেন সবাই এবং নিজের কাছে রেখে দেন।