ইদানিং কিছু কমন প্রশ্ন আসছে যেগুলো নিন্ম তুলে ধরা হলো এবং সমাধান দেওয়া হলোঃ-
ছাগলের বাচ্চা দুধ পায় না?
উত্তর: ছাগল গাভীন হওয়ার পর ২ মাস থেকে যত্ন নিতে হবে। ছাগলকে জিংক ভিটামিন এবং পুষ্টিকর ঘাস দিতে হবে। ক্যালসিয়াম দিতে হবে। বাচ্চা দেওয়ার ২ সপ্তাহ পর ছাগলকে কৃমিনাশক দিতে হবে। ছাগলের পুষ্টি ঘাটতি থাকলে বাচ্চা দুধ পাবে না। আর এই যত্ন গাভীন হওয়ার ২ মাসের মধ্যই শুরু করতে হবে।
ছাগল যথা সময়ে হিটে আসছে না?
উত্তর: ছাগলের যথা সময়ে যত্ন না নিলে হিটে আসবে না। আর ছাগল যখনই হিটে আসুক বয়স সময় যা হোক ৮/১২ ঘন্টার মধ্য ব্রিডিং করানো উত্তম। ছাগলকে জিংক ভিটামিন এবং পুষ্টিকর ঘাস দিতে হবে। ক্যালসিয়াম দিতে হবে। বাচ্চা দেওয়ার ২ সপ্তাহ পর ছাগলকে কৃমিনাশক দিতে হবে। উপরের ১ নং প্রশ্নের ন্যায় ছাগলের পুষ্টি ঘাটতি হলে দুধ ও দিবে না সঠিক সময়ে হিটে ও আসবে না।
ছাগলকে কি কাঁচা ঘাস দেওয়া যাবে?
উত্তর: না ছাগলকে কাঁচা ঘাস না দেওয়া উত্তম। কাঁচা ঘাস ১/২ দিন শুকিয়ে ঘাসের ভেতরকার পানির পরিমান কমিয়ে তারপর ছাগলকে দেওয়া উত্তম। কাঁচা ঘাস খেলে ছাগলের অনেক রোগ হয়। তবে যে সকল ঘাসে পানির পরিমান কম তা সরাসরি দিতে পারেন। যেমন- দুর্বা ঘাস,বাগসা ঘাস,কাঠাল পাতা সহ ইপিল ইপিল গাছের পাতা।
পি পি আর কখন দেবো?
উত্তর: বছরে ২ বার পিপিআর দিবেন। বাচ্চার বয়স ৪ মাস হলে পিটিআর দিবেন। ছাগী বাচ্চা দেওয়ার ২ সপ্তাহ পর পিপিআর দিবেন।
কৃমির জন্য কি করবো?
উত্তর: আপনার খামারের সব ছাগলকে এক সঙ্গে কৃমির ডোজ দিতে হবে। ছাগলের অন্যতম প্রধান শত্রু কৃমি। আমি কৃমির জন্য হোমিও সাজেষ্ট করবো। বিজ্ঞ হোমিও ডাক্তার দের কাছ থেকে কৃমি ডোজ তৈরী করে নিবেন। দাম বেশি পড়লেও সাইড ইফেক্ট নেই।
জিংক ভিটামিন চিটাগুর কিভাবে খাওয়াবো?
উত্তর: পরিমান মত পানির সাথে গুলিয়ে কিম্বা দানাদার খাবারের সাথে।
পেট ফুলে গেলে কি করবো?
উত্তর: কাঁচা ঘাস কম খাওয়াবেন। ভাত গম ভুষি এগুলো যদি খাওয়ান হবে এই সমস্যা হবে। শুকনা দানাদারের সাথে ডিসিপি কিম্বা ভিটামিন দিবেন। তাতে পেট ফুলবে না। পেট ফুলে গেলে খাবার পানি বন্ধ করবেন। দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
ছাগল জিমাচ্ছে করনীয় কি?
উত্তর: ছাগল কে নিয়মিত টিকা দিতে হবে। এবং রুটিন মাফিক ছাগলকে খাবার দিতে হবে। দিনে একটা সময় ছেড়ে দিতে হবে যাতে দৌড়াতে পারে গায়ে রৌদ্র লাগে। বদ্ধ পরিবেশে ছাগল বেশি আক্রান্ত হয় জিমানি রোগে পরে পিপিআর সহ বিভিন্ন রোগে মারা যায়। নোট- ছাগল জন্মগত ভাবে বিভিন্ন রোগ বহন করে। সেগুলো নিদৃষ্ট সময়ে টিকা ও সঠিক পরিচর্যায় নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয়। কাঁচা ঘাস ছাগলের অসংখ্য রোগের মূল কারন সংঙ্গে প্রচুর ভুষি কিম্বা ভাত ধান গম খেয়ে ফেললে বিপদ। তাই এই সব কিছু নিয়ন্ত্রন করা জরুরী কাঁচা ঘাস ১/২ দিন শুকিয়ে খাওয়াতে হবে।
জিংক ক্যালশিয়াম ভিটামিন এগুলো কেজি হিসাবে পাউডার কিনবেন। তাতে আপনাদের হাজার হাজার টাকা সেভ হবে।ছাগল বদ্ধ পরিবেশে পালন করলে ১০০% রোগে আক্রান্ত হবে তাই এমন জায়গায় সেড করুন যেখানে ছাগল দিনে কয়েক ঘন্টা রোদে দৌড়াদৌড়ি করতে পারে।
কোন রোগ হওয়ার আগেই যদি আপনার খামারের সকল ছাগলের যত্ন নেন তাহলে আপনার খামারের সব ছাগল ই নিরাপদে থাকবে।হাট থেকে রোগা ছাগল কিনে নিজের খামার ধ্বংস করবেন না। নিজের খামারের উপর গবেষনা করুন অনেক সমাধান আপনি নিজেই করতে পারবেন।