কৃত্রিম পদ্ধতিতে টার্কির ডিম ফোটানোর সুবিধাসমূহ

76

কৃত্রিমভাবে ডিমে তা দেওয়া পদ্ধতি

কৃত্রিমভাবে অর্থাৎ যান্ত্রিকভাবে ডিমে তা দেওয়ার মাধ্যমে বাচ্চা টার্কি জন্মানোর পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিম ফোটানো হয়। এক্ষেত্রে টার্কি ডিমের ওজন হতে হবে ৮৫ গ্রাম। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে মোট সময় লাগে ২৮ দিন।

কৃত্রিম পদ্ধতিতে টার্কির ডিম ফোটানোর সুবিধাসমূহ

১। বাণিজ্যক উদ্দেশ্যে সাধনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিম এমনকি ৫০০০০ একসাথে ডিম ফোটানো যেতে পারে।
২। সারা বছর জুড়েই ডিম ফোটানো যায়। যারফলে ব্রুডি মুরগি বা ব্রুডি স্ত্রী টার্কির ( Hen ) প্রয়োজন হয় না। এতে সময়ের অপচয় হয় না।
৩। ব্রুডি স্ত্রী টার্কি অথবা মুরগি থেকে রোগ সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ থাকে না।
৪। স্বাস্থ্যসম্মত ও গুণগত মানের সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিম ফোটানো সম্ভব।
৫। মেশিন স্বয়ংক্রিয় হওয়ার ফলে শ্রমিক খরচ বহুলাংশে কমে যায়।

ইনকিউবেটর সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা-

ক) Smaller forced draft cabinet Incubator.
খ) Large walk in Mammoth Incubator

ইনকিউবেটর দুই গ্রুপে বিভক্ত। যথা–
ক) সেটার
খ) হ্যাচার

টার্কির ডিমের ক্ষেত্রে,সেটারে ডিম সেটিং করার পর প্রথম ২৫ দিন পর্যন্ত সেটারে থাকে এবং সেখানে ডিম দিনে এক ঘণ্টা পর পর টার্নিং করতে হয়। যা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ঘটে থাকে। বাকি শেষ ৩ দিন হ্যাচারিতে নেওয়া হয়। এই হ্যাচারিতে ২৮ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে শুরু করে।

ইনকিউবেটর মেশিনে সেটারে ও হ্যাচারিতে তাপমাত্রা ৯৯.৫৹ফাঃ প্রয়োজন হয় এবং প্রয়োজনীয় আদ্রর্তা সেটারে ৬১ – ৬৩ % এবং হ্যাচারিতে ৮৫ – ৯০ %।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
১। থার্মোমিটার ,
২ ।স্প্রে বোটল
৩। ইনকিউবেটর
৪। ফ্লাসলাইট
৫।ব্রুডার।