প্রজননের জন্য গাভী তৈরি হয়েছে কিনা তা বোঝার সঠিক উপায়

66

গাভীটি কখন ডাকল বা গরম হল সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অনেক গাভী গরম হলে ডাকে না। দেখা যায় গাভী গরম হলে প্রসবদ্বার ফোলে ও স্বচ্ছ কাঁচের মতো তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে।

গাভী চঞ্চল হয়ে অন্য গরুর উপর উঠতে চায়। হঠাৎ দুধ কমে যায়। ঘনঘন একটু প্রস্রাব করে। এই সব লক্ষণে বুঝতে হবে গাভী গরম হয়েছে।

গাভী সকালে গরম হলে বিকালে এবং বিকালে গরম হলে তার পরদিন সকালে কৃত্রিম প্রজননের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এর জন্য নিকটস্থ গো-প্রজনন কেন্দ্রের সাথে অথবা প্রাণীবন্ধুর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

প্রজননের জন্য উন্নত জাতের, যেমন হলস্টিন বা জার্সি জাতের ষাড়ের বীজ ব্যবস্থা করা দরকার। প্রথম কৃত্রিম প্রজননের ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় বার কৃত্রিম প্রজনন করালে গাভিন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

গাভীটি ১৮-২৪ দিনের মাথায় আবার গরম হল কি না লক্ষ রাখতে হবে। যদি গরম হয়, আবার প্রজনন করা দরকার।
এভাবে ২/৩ বার পুনরায় গরম হলে বুঝতে হবে গাভীটি কোনও জনন অঙ্গ ঘটিত রোগে ভুগছে অথবা বীজের যথাযথ গুণ নষ্ট হয়েছে। তাহলে গরুটিকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে বা গো-বীজ পরীক্ষা করতে হবে।

প্রজনন করার পর আর না ডাকলে বা আর গরম না হলে বুঝতে হবে গাভীটি গাভিন হয়েছে। আড়াই মাস থেকে তিনমাসের মধ্যে প্রাণী চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিয়ে প্রসবের আনুমানিক তারিখ আগে থেকে জেনে নিতে হবে।